TMC

TMC: বেআইনি অস্ত্র পুলিশের কাছে জমা দিন, ভিডিয়োবার্তায় তৃণমূল বিধায়কের ‘আর্জি’তে শোরগোল

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর গ্রামে সম্প্রতি বোমা ফেটে মৃত্যু হয়েছে এক যুব তৃণমূল কর্মীর। ধরপাকড় চালাচ্ছে পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

বাসন্তী শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০২২ ০৬:৪১
Share:

বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল। ছবি সংগৃহীত।

মুখ্যমন্ত্রী পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন, অস্ত্র উদ্ধার করতে। আবার তাঁরই দলের বিধায়ককে করজোড়ে ভিডিয়ো বার্তায় (আনন্দবাজার তার সত্যতা যাচাই করেনি) বলতে শোনা যাচ্ছে, যার কাছে যা বেআইনি অস্ত্র আছে, থানায় গিয়ে নিজেরাই জমা করুন!

Advertisement

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর গ্রামে সম্প্রতি বোমা ফেটে মৃত্যু হয়েছে এক যুব তৃণমূল কর্মীর। ধরপাকড় চালাচ্ছে পুলিশ। তারই মধ্যে স্থানীয় বিধায়ক শ্যামল মণ্ডলের এ হেন অনুরোধে শোরগোল পড়েছে। তা হলে কি পুলিশ অস্ত্র উদ্ধারে ব্যর্থ— প্রশ্ন তুলে কটাক্ষ করছে বিরোধী শিবির।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়ো বার্তায় শ্যামলকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘বাসন্তীতে যাঁদের কাছে বেআইনি অস্ত্র রয়েছে, তাঁরা যেন আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সে সব স্থানীয় থানা, এসডিপিও অফিস বা পুলিশ-প্রশাসনের কাছে জমা দেন। পুলিশ-প্রশাসনকেও এলাকা থেকে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের আবেদন জানাচ্ছি।” বিধায়ককে আরও বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘‘কেউ নিজেদের হাতে আইন তুলে নেবেন না। অস্ত্র প্রশাসনের হাতে তুলে দিয়ে সাধারণ জীবনে ফিরে এলে সরকার সাহায্য করবে।”

Advertisement

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী টুইট-প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “ওঁর এই অসহায় আবেদনে আমি উদ্বিগ্ন। নিজের (শ্যামল মণ্ডল) বিধানসভা এলাকায় বেআইনি অস্ত্র মজুতকারীদের কাছে উনি কাতর আবেদন জানাচ্ছেন।” সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘পুলিশ জানে, তৃণমূল নেতারাও জানেন, কোথায় অস্ত্র রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও বাসন্তী থেকে বোমা-বন্দুক উদ্ধার হয়নি। পুলিশ সম্পূর্ণ ব্যর্থ। তাই বিধায়ককে এ ভাবে আবেদন করতে হচ্ছে।” বাসন্তীর প্রাক্তন বিধায়ক তথা আরএসপি নেতা সুভাষ নস্করের কথায়, “পুলিশ কাজ করছে না বলেই বিধায়ককে হাতজোড় করে অনুনয়-বিনয় করতে হচ্ছে।”

বিরোধীদের সমালোচনায় অবশ্য কান দিচ্ছেন না শ্যামল। বরং এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে, উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে এটা তাঁর দায়িত্ব বলেই মনে করছেন। শ্যামলের কথায়, ‘‘এ নিয়ে সস্তার রাজনীতির কোনও মানে হয় না।’’

বিধায়কের ভিডিয়ো-বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে মঙ্গলবার থেকে। অনুরোধে চিঁড়ে ভিজল কি?

পুলিশ জানিয়েছে, গত দু’দিনে অন্তত কেউ থানা বা এসডিপিও অফিসে এসে অস্ত্র জমা দেননি। নতুন করে কোনও অস্ত্র উদ্ধারও হয়নি এলাকা থেকে।

ক্যানিংয়ের এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, “পুলিশ লাগাতার বাসন্তীতে তল্লাশি চালিয়ে ইতিমধ্যে বহু বোমা-বন্দুক উদ্ধার করেছে। বিস্ফোরণের ঘটনার পরে বিভিন্ন এলাকায় পুলিশি অভিযান চলছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement