—প্রতীকী ছবি।
১৬ অক্টোবর ২০২৪, বুধবার কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা। এই দিন বহু হিন্দু বাড়িতে আচার-অনুষ্ঠানের সঙ্গে লক্ষ্মীপূজা করা হয়। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে বাড়িতে লক্ষ্মীপূজা করলে শুভ ফল পাওয়া যায়। মনে করা হয়, যে বাড়িতে মা লক্ষ্মী তাঁর কৃপা বর্ষায়, সেই বাড়ি সর্বদা সুখ-শান্তিতে ভরে থাকে। জ্যোতিষশাস্ত্র লক্ষ্মীপূজার দিন কিছু টোটকা পালন করার কথা বলা রয়েছে। এই টোটকাগুলি মেনে চললে জীবনে কখনও অন্নবস্ত্রের অভাব হয় না।
টোটকা
১) লক্ষ্মীপূজার দিন যখন পূর্ণিমা লাগছে, ঠিক সেই মুহূর্তে একটা লাল বা হলুদ, ছোট কাপড়ের টুকরোয় পাঁচটা হলুদের গাঁট, পাঁচটা কড়ি, পাঁচটা পদ্মবীজ, সামান্য কেশর, সামান্য আতপ চাল এবং একটা এক টাকার কয়েন নিয়ে একসঙ্গে লাল সুতো দিয়ে বেঁধে নিন। তার পর সেটিকে মায়ের চরণে রেখে দিন পুজো শেষ না হওয়া পর্যন্ত। পরের দিন যখন পূর্ণিমা ছেড়ে যাবে, তখন ওই কাপড়ের পুঁটলি টাকা রাখার জায়গায় রেখে দিন।
২) পুজোর সময় লক্ষ্মীদেবীর কাছে অবশ্যই পদ্মফুল এবং পদ্মবীজ অর্পণ করবেন। কারণ পদ্মবীজ মায়ের অত্যন্ত প্রিয় একটা জিনিস।
৩) লক্ষ্মীপূজার দিন লক্ষ্মীদেবীর সামনে যা কিছুই ভোগ দেওয়া হোক, তাঁর সঙ্গে নারকেল অবশ্যই রাখবেন।
৪) এই দিন বাড়ি থেকে অন্য কাউকে চাল, দুধ, যে কোনও তেল এবং টাকাপয়সা দেবেন না।
৫) এই পুজোয় দেবীকে তুলসীপাতা এবং সাদা যে কোনও ফুল দেওয়া যাবে না।
৬) লক্ষ্মীপূজায় একেবারেই লোহার বাসন ব্যবহার করা যাবে না।
৭) খেয়াল রাখবেন বাড়িতে যেন এই দিন কোনও ভাবেই ঝগড়াঝাঁটি না হয়। এতে মা লক্ষ্মী অত্যন্ত রুষ্ট হন।
৮) লক্ষ্মীপূজার দিন বাড়িতে নারায়ণের পুজো করাও শুভ বলে মানা হয়।
৯) লক্ষ্মীপূজার দিন বাড়ির সদর দরজার দু’পাশে একটা করে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালুন। এর ফলে ঘরের সকল অশুভ শক্তি দূর হয়।