চোখে জল তৃণমূল বিধায়কের। নিজস্ব চিত্র।
কলকাতায় প্রকাশ্য মঞ্চে কেঁদে ফেললেন তৃণমূল বিধায়ক নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন মঞ্চে তাঁকে ঘিরে সান্ত্বনা দিতে দেখা গেল অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সেচ প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন, মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ তথা কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিনেত্রী তথা মহিলা তৃণমূলের নেত্রী শ্রেয়া পান্ডেকে। তার কিছুক্ষণ আগেই সেই মঞ্চ ছেড়ে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হঠাৎ বিধায়ক নয়নাকে কাঁদতে দেখে উপস্থিত অনেকেই অবাক হয়ে যান। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন নয়নার স্বামী তথা তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
বুধবার কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে আয়োজিত দাওয়াত-এ-ইফতার অনুষ্ঠানে মমতার সঙ্গে অন্য সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়ক, কাউন্সিলরদের সঙ্গেই এসেছিলেন চৌরঙ্গীর বিধায়ক নয়নাও। সন্ধ্যায় পার্কসার্কাস ময়দানে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের শেষে মমতার সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় নয়নাকে। মুখ্যমন্ত্রী মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যেতেই কাঁদতে দেখা যায় তাঁকে। উপস্থিত অনেকেই সান্ত্বনা দেন এই অভিনেত্রী রাজনীতিককে। মঞ্চে উপস্থিত এক তৃণমূল নেতার কথায়, ইফতার শেষে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে যান নয়না। সেই অভিযোগের কথা শুনে মুখ্যমন্ত্রী তা নস্যাৎ করে জানিয়ে দেন, নয়নার ওপর আস্থাশীল তিনি। তাই চৌরঙ্গী এলাকায় নয়না যেন মন দিয়ে কাজ করেন। প্রয়োজনে স্বামী তথা উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতি সুদীপের থেকে যেন তিনি সাহায্য নেন।
এমন কথা বলে মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে যাওয়ার পর সতীর্থদের সঙ্গে কথা বলতে বলতেই কেঁদে ফেলেন চৌরঙ্গীর বিধায়ক। আবার ইফতার অনুষ্ঠানে হাজির একটি অংশের দাবি, নয়না মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন ঠিকই। কিন্তু তাঁদের মধ্যে কী কথা হয়েছে, কেউই শোনেননি। তাই মুখ্যমন্ত্রী তাঁর ওপর আস্থা জ্ঞাপন করেছেন, না তিরস্কৃত হয়েছেন, তা বলা যাচ্ছে না।
তবে নয়না বলেছেন, ‘‘আমার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর অবশ্যই কথা হয়েছে। তবে তিনি আমাকে কখনওই বকেননি। এ সব যাঁরা রটাচ্ছেন, তাঁরা ঠিক কথা বলছেন না।’’ তবে নিজের কান্না প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে চাননি তিনি।