ফাইল ছবি
হাজিরা নিয়ে কি হার মানছে তৃণমূল কংগ্রেস? বিধানসভায় পরপর দুটি ভোটাভুটিতে দলের বিধায়কদের হাজিরার হাল দেখে সেই চর্চাই শুরু হয়েছে দলের অন্দরে।
২০২১ সালের নির্বাচনের নিরিখে রাজ্যে শাসক-বিরোধী বিধায়ক সংখ্যায় ফারাক অনেক। এই মুহূর্তে তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা ২১৬ এবং একমাত্র বিরোধী দল বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭০। তবু বিধানসভার ভিতরে যে কোনও প্রশ্নে ভোটাভুটি হলে এখন মানরক্ষাই বড় বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে শাসক তৃণমূলের। বারবার বলা সত্বেও বিধানসভা নিয়ে বিধায়কদের এই অনীহা কেন, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না তৃণমূলের পরিষদীয় নেতৃত্ব। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকেও এই বিষয়টি নিয়ে রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে।
বিধানসভার চলতি অধিবেশন টানটান হতে পারে ধরে নিয়েই প্রস্তুতি শুরু করেছিল সরকারপক্ষ। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যপদে বদল নিয়ে বিরোধীদের মোকাবিলায় গোড়া থেকেই আলোচনা চলছিল তৃণমূলের পরিষদীয় দলে। পরিষদীয় দলের বৈঠক ডেকে এই হাজিরা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন নেতা-মন্ত্রীরা। ভোটাভুটিতে দলের উপস্থিতি কম কেন হয়, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু কাজের কাজ যে হয়নি তা বোঝা গিয়েছে আচার্যবদল সংক্রান্ত পরপর দুটি ভোটাভুটিতে। একটিতে শাসকদের পক্ষে ভোট পড়ে ১৬৭ এবং দ্বিতীয়টিতে তা কমে দাঁড়ায় ১১৯টিতে।
প্রথম ভোটাভুটির পরই মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। জানতে চাওয়া হয়েছে, অনুপস্থিত বিধায়কেরা কি আগে থেকেই ছুটি নিয়েছিলেন? তা নিয়ে থাকলে যথাযথ কারণ দেখিয়েই কি ছুটি নেওয়া হয়েছিল? সেই সঙ্গেই জানতে চাওয়া হয়েছে বিধানসভায় এসেও ভোটাভুটিতে অংশ না নিয়ে চলে গিয়েছেন, দলের এমন বিধায়ক কেউ আছেন কি না। থাকলে তাঁদের নামের তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে।
দলীয় বিধায়কদের হাজিরা নিয়ে চাপে পড়েছেন তৃণমূলের পরিষদীয় নেতৃত্ব। এ নিয়ে সরকারপক্ষের মুখ্যসচেতক নির্মল ঘোষ বলেন, ‘‘কেউ কেউ ছুটি নিয়েছেন ঠিক। তবে কেউ যদি ব্যক্তিগত কাজে বিধানসভাকে অবহেলা করেন তা ঠিক হবে না। সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।