Soham Chakraborty Slap Controversy

রেস্তরাঁ-মালিককে মারধরের ঘটনায় আগাম জামিন নিতে বারাসত আদালতে সোহম! কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউ টাউনের এক রেস্তরাঁর একটি ফ্লোরে শুটিং করছিলেন সোহম। সেই সময়ই ওই রেস্তরাঁর মালিককে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২৪ ১০:৪০
Share:

তৃণমূল বিধায়ক তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র ।

নিউ টাউনের রেস্তরাঁর মালিককে মারধরের ঘটনায় আগাম জামিন নিতে বারাসত জেলা আদালতে পৌঁছলেন চণ্ডীপুরের বিধায়ক তথা অভিনেতা সোহম চক্রবর্তী। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে তেমনটাই। একই সঙ্গে অসমর্থিত সূত্র মারফত এ-ও জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মসমপর্ণও করতে পারেন সোহম। আর সেই কারণেই তিনি বারাসত আদালতে গিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে ১০টা নাগাদ বারাসত জেলা আদালতে ঢুকতে দেখা যায় সোহমকে। তিনি কেন আদালতে এসেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল বিধায়ক জানান, পুরো বিষয়টি বিচারাধীন। তাঁর আইনজীবীই যা বলার বলবেন। সোহমের কথায়, ‘‘এখনই কোনও মন্তব্য আমি করব না। পুরো বিষয়টি বিচারাধীন।’’

Advertisement

ইতিমধ্যেই সোহমের বিরুদ্ধে তাঁকে মারধরের অভিযোগ এনে বুধবারই কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই রেস্তরাঁ-মালিক আনিসুল আলম। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, সোহমের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করছে না পুলিশ। আনিসুলের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেল এবং পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন জনপ্রতিনিধি সোহম। পুলিশে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। শুক্রবার সেই মামলার শুনানির সম্ভাবনা। ঠিক তার আগের দিন অর্থাৎ, বৃহস্পতিবার আগাম জামিন নিতে তৃণমূল বিধায়ক বারাসত আদালতে পৌঁছলেন। এই আবহেই প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি গ্রেফতারির আশঙ্কা করছেন অভিনেতা-বিধায়ক? আর সেই কারণেই কি তড়িঘড়ি আগাম জামিনের পদক্ষেপ?

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিউ টাউনের এক রেস্তরাঁর একটি ফ্লোরে শুটিং করছিলেন সোহম। সেই সময়ই রেস্তরাঁর সামনে শুটিং ইউনিটের গাড়ি রাখা নিয়ে সোহমের নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসা বাধে ওই রেস্তরাঁর মালিক আনিসুল আলমের। তাঁর অভিযোগ, একটি পার্কিং খালি করতে বললে সোহমের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁর উপর চড়াও হন। আরও অভিযোগ, এর পর সোহমও তাঁকে মারধর করেন। তাঁকে ঘুষি মারা হয়। এমনকি, সোহম তাঁকে সজোরে লাথি মারেন বলেও অভিযোগ আনিসুলের। আনিসুলকে চড় মারার কথা স্বীকার করে নেন সোহমও। যদিও বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হওয়ার পর তিনি ক্ষমাও চান।

Advertisement

উল্লেখ্য, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। আনিসুলের দাবি, তিনি পুরো বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন। তাঁর আরও দাবি, মারধরের ভিডিয়ো সিসি ক্যামেরাতেও ধরা পড়েছে। (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement