শনিবার হাওড়ায় কর্মিসভায় রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। —নিজস্ব চিত্র।
দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় নেতা-কর্মীদের একজোট হওয়ার বার্তা দিলেও হাওড়ায় যুব তৃণমূলের কর্মিসভায় দেখা গেল একেবারে উল্টো চিত্র। শনিবার ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু বা সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আমন্ত্রণ জানানো হলেও গরহাজির থাকলেন রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী তথা হাওড়া সদরের তৃণমূল চেয়ারম্যান অরূপ রায় এবং সদরের সভাপতি ভাস্কর ভট্টাচার্য। ছিলেন না অরূপ-ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন কাউন্সিলররাও। ওই নেতাদের অনুপস্থিতির পিছনে কি হাওড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে? শুরু হয়েছে জল্পনা।
শনিবার হাওড়ার চ্যাটার্জি পাড়ার সম্মিলনী মাঠে যুব তৃণমূলের ডাকে একটি কর্মিসভা হয়। ওই সভায় নিজের ভাষণে দলগত ঐক্যের গুরুত্বকে ফের এক বার মনে করিয়ে দেন রাজ্যের তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী ব্রাত্য। তিনি বলেন, ‘‘সবার আগে দরকার টিম গেম। কেউ যদি বিচ্ছিন্ন ভাবে খেলে, তা হলে জেতা মুশকিল।’’ ওই সভায় আমন্ত্রণ জানানো হলেও অরূপের অনুপস্থিতি নিয়েও মুখ খোলেন তিনি। ব্রাত্যর কথায়, ‘‘যদি এই সভায় অরূপ রায় কিংবা অন্য নেতা-কর্মীরা না এসে থাকেন, তা হলে কোথাও ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে।’’
দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে এই ‘ভুল বোঝাবুঝি’ যে শীঘ্রই মিটে যাবে, তেমনটাও আশা প্রকাশ করেছেন ব্রাত্য। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘তবে যাঁরা এধরনের কাজ করছেন, তাঁরা ভুল করছেন।’’ ব্রাত্যর দাবি, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার ক্ষমতায় আসবেন। তখন দল এদের বরদাস্ত করবে না।’’ এ নিয়ে অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি অরূপ। এমনকি, গোটা বিষয়ে তাঁর ঘনিষ্ঠরাও মুখ খোলেননি।
সভামঞ্চে নিজেদের ভাষণে কেন্দ্রীয় সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন বক্তারা। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত ধরে নিয়েও যুব নেতা-কর্মীদের আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।