ফাইল ছবি
বিধাননগর, আসানসোল, শিলিগুড়ি, চন্দননগরের ভোট পিছিয়ে দেওয়ার দাবি অনেক আগে থেকেই তুলে আসছে বিজেপি। শুক্রবার করোনা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে ফের রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে নির্বাচন কমপক্ষে চার সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন জানাল রাজ্য বিজেপি। এখন শোনা যাচ্ছে তৃণমূলও একই রকম দাবি জানাতে চলেছে কমিশনের কাছে। শুক্রবারই এ নিয়ে কয়েক দফায় আলোচনাও চালিয়েছে শাসক শিবির। তবে তৃণমূল সূত্রে খবর, এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সেটা হয়ে গেলেই কমিশনকে লিখিত ভাবে জানাতে পারে তৃণমূল।
শুক্রবারই কলকাতা হাই কোর্ট রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে হাই কোর্ট কমিশনকে পরামর্শ দিয়েছে, বর্তমান আবহে ভোট চার থেকে ছ’সপ্তাহ পিছনো যায় কি না, তা বিবেচনা করে দেখতে। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, করোনা পরিস্থিতি ভোট করানো যায় কি না, তা ভাবনাচিন্তা করুক কমিশন। কমিশন কী সিদ্ধান্ত নিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মামলকারীদের তা জানানোর নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। এখনও পর্যন্ত যা ঘোষণা তাতে ঠিক এক সপ্তাহ পরেই চার পুরসভা এলাকায় নির্বাচন। হাতে সময় কম। মনে করা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন শনিবারই নতুন তারিখ জানিয়ে দিতে পারে। পিছিয়ে ভোটগ্রহণ ১২ ফেব্রুয়ারি করা যায় কি না সে ভাবনাও রয়েছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। তৃণমূল সূত্রে খবর, শাসকদলও দু'সপ্তাহ ভোট পিছিয়ে দেওয়ার পক্ষে মত দিতে পারে। সেটা হলে ১২ ফেব্রুয়ারি নাগাদ হতে পারে নির্বাচনের পরিবর্তিত তারিখ।
সম্প্রতি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ব্যক্তিগত মতামত জানিয়ে বলেছিলেন, বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে মাস দুয়েক কোনও নির্বাচন হওয়া ঠিক নয়। এখন তৃণমূল যদি পুরভোট পিছিয়ে দিতে কমিশনে আবেদন জানায় তবে অভিষেকের মন্তব্য ও দলের ভাবনার মধ্যে সাযুজ্য দেখা যেতে পারে। তবে সবটাই নির্ভর করছে শেষ পর্যন্ত তৃণমূল কমিশনে কী জানায় বা আদৌ কিছু জানায় কি না তার উপরে।