স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে জবাব দিলেন মদন মিত্র। নিজস্ব চিত্র।
তর্পণ-বিতর্কে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে উত্তর দিলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। মঙ্গলবার বিতর্ক প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমি অত্যন্ত নতমস্তকে স্পিকারকে প্রণাম জানাচ্ছি। তিনি ঠিকই বলেছেন যে, মদন মিত্র না বললেই পারতেন। মদন মিত্র তো এমনিতেই মদন মিত্র। এ সবের দরকার কী?’’ এর পরেই স্পিকারকে তাঁর কর্মপরিধি স্মরণ করিয়েছেন কামারহাটির বিধায়ক। মদন বলেন, ‘‘আমি মেনে নিচ্ছি। কিন্তু স্পিকারকে আমি বলি, আপনি তৃণমূলের স্পিকার নন, আপনি গোটা বিধানসভার স্পিকার।’’
স্পিকারকে উদ্দেশ্য করে প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী বলেন, ‘‘বিধানসভায় আপনার সামনেই যখন অকথ্য, কুকথ্য ভাষায় গালাগাল দেওয়া হয়। এবং বাইরে রেজিস্টার্ড মাতালদের লিস্ট তৈরি করা হয়।’’ এ কথা বলে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বিধানসভা থেকে কী কী দেওয়া হয়, তার উল্লেখ করেন তিনি। মদন বলেন, ‘‘বিরোধী দলনেতার জন্য কত গাড়ি, কত পাহারা... লাখ লাখ টাকা খরচ করা হচ্ছে। সে ওপেনলি বলছে আমি বাটলার, পেগ মাপা নাকি আমার কাজ! আমি মাতালদের রেজিস্টার মেনটেন করি। ভারতবর্ষের লোকতন্ত্র অনুযায়ী, বিধানসভার বাইরে কে কী বলছে, সেটা বিধানসভা থেকে বাদ দেওয়া যায় না। কিন্তু বিধানসভার ভিতরে হয়।’’ প্রসঙ্গত, বিধানসভায় কোনও বিধায়ক অসংবিধানিক কথা বললে তা কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন স্পিকার। কিন্তু বিরোধী দলনেতা বিধানসভার বাইরে তাঁকে আক্রমণ করলে সেই শব্দ বাদ দেওয়া যায় না বলেই বোঝাতে চেয়েছেন মদন।
প্রসঙ্গত, রবিবার বাবুঘাটে গিয়ে ‘বিজেপির তর্পণ’ করেন মদন। মদন দাবি করেছিলেন, রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে বিজেপির, তাই এই তর্পণের আয়োজন। সেখানে তাঁকে দেখা যায়, শুভেন্দু এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের ছবিতে মালা দিতে। যদিও মদন জানিয়েছিলেন, তিনি চান ব্যক্তিগত জীবনে সুস্থ থাকুন তাঁরা। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়কের এই তর্পণ-কাণ্ড ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে। বিধায়কের এই কাণ্ডের রেশ পৌঁছায় বিধানসভার আঙিনাতেও। এ নিয়ে বিমান বলেন, ‘‘এ সব করে ভাল দৃষ্টান্ত স্থাপন করছেন না। এগুলি করলে কি গৌরব বৃদ্ধি পায়? আমি জানি না। সংবাদমাধ্যমের সামনে পাবলিসিটি পাওয়ার জন্য উনি এ সব করছেন। এ সব না করলেও মদন মিত্র মদন মিত্রই থাকবেন।’’
সেই মন্তব্যের উত্তরেই এই কথাগুলি বলেন মদন।