জঙ্গলমহল পুনরুদ্ধারে জনজাতি সম্মেলন

জঙ্গলমহলের ‘সমস্যা’ বুঝতে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার জনজাতি মানুষকে নিয়ে সম্মেলন করতে চাইছে তৃণমূল। দলের ‘মাথা-মুরুব্বি’ আর জনপ্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে স্থানীয় সংগঠনকে জড়িয়ে এই সম্মেলনের আয়োজন করতে চাইছে দলীয় নেতৃত্ব।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৮ ০৪:৫১
Share:

জঙ্গলমহলের ‘সমস্যা’ বুঝতে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার জনজাতি মানুষকে নিয়ে সম্মেলন করতে চাইছে তৃণমূল। দলের ‘মাথা-মুরুব্বি’ আর জনপ্রতিনিধিদের বাদ দিয়ে স্থানীয় সংগঠনকে জড়িয়ে এই সম্মেলনের আয়োজন করতে চাইছে দলীয় নেতৃত্ব। জনজাতি মানুষের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক প্রতিষ্ঠায় জোর দিতে প্রস্তাবিত এই সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রীকে রাখার কথাও ভেবেছেন দলীয় নেতৃত্ব।

Advertisement

পঞ্চায়েত ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পর দলীয় স্তরে মানুষের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির খোঁজখবর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোন পরিবারের কোন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া উচিত ছিল অথচ পায়নি এবং কেন পায়নি— তা জানতে নির্দিষ্ট করে জানতে বলা হয়েছে স্থানীয় নেতৃত্বকে। প্রাথমিক খোঁজখবরে দলের রাজ্য নেতৃত্ব বুঝেছেন, এই প্রকল্পগুলির সুযোগ যাঁদের প্রাপ্য সব ক্ষেত্রে তাঁদের দেওয়া যায়নি। আর যাঁরা পেয়েছেন, তাঁদেরও বিস্তর হয়রানি পেরোতে হয়েছে। তাই ঝাড়গ্রামের সব ব্লক সভাপতিকে বলা হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকার সব বাড়িতে পৌঁছতে। একেবারে নাম-ঠিকানা ধরে জানতে বলা হয়েছে, রাজ্যের জনমুখী প্রকল্পগুলি আদৌ জনমুখী করা গিয়েছে কি না। এই তথ্য পাওয়ার পরেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেবেন দলীয় নেতৃত্ব। অন্তর্ঘাতের কিছু অভিযোগ রয়েছে। তবে তাতে হাত দিয়ে ক্ষত বাড়াতে চাইছে না তৃণমূল।

শুধু ঝাড়গ্রাম নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোটা জঙ্গলমহলেই ফল খারাপ হয়েছে তৃণমূল। তাই এই একই পথ নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ার একাংশের জন্যে। স্থানীয় এক নেতার কথায়, ‘‘কিছু জায়গায় দলের সাংগঠনিক ক্ষতি গুরুতর। লোকসভা ভোটের আগে তা পূরণ করতে বেশ কিছু পরিকল্পনা ভাবা হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, পার্থের সঙ্গে আলোচনায় ঝাড়গ্রামের কয়েক জন ঝাড়গ্রামের দলীয় কাজকর্মের সঙ্গে পরিচিত শুভেন্দু অধিকারীকে চেয়েছেন। তাঁদের দাবি, জঙ্গলমহলের রাজনীতির সঙ্গে শুভেন্দুর পরিচয় দীর্ঘ দিনের। পঞ্চায়েত ভোটের আগেও যে কয়েকটি কর্মসূচিতে তিনি ছিলেন, তাতে ভাল সাড়া ছিল। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কে, কোথায় সংগঠন দেখবেন, তা ঠিক করেন নেত্রী। তবে স্থানীয় রাজনীতির সম্পর্কে অভিজ্ঞ কোনও নেতাকে যাতে বেশি সময়ের জন্য পাওয়া যায়, দল তা দেখবে।’’ ফল পর্যালোচনা করে ঝাড়গ্রামে গিয়ে দলের খামতি বোঝার চেষ্টা করেছেন পার্থ। স্থানীয় সংগঠন ও নেতৃত্ব সম্পর্কে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি রিপোর্ট দিচ্ছেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement