বিপজ্জনক: করোনা আবহে রায়গঞ্জে উত্তর দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিন পালনকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের নেতা ও কর্মীদের ভিড়। নিজস্ব চিত্র।
মঞ্চে বসে নেতানেত্রীরা। মাঠের চারপাশে ভিড় মাস্কহীন দর্শকদের। বিধিনিষেধ জারি থাকলেও করোনা আবহেই যুব তৃণমূলের উদ্যোগে চলল ‘খেলা হবে’ কর্মসূচি। বুধবার এমনই ছবি দেখা গেল মালদহের হবিবপুর ব্লকের বুলবুলচন্ডীর দত্ত পাড়া ময়দানে। এ দিনের ফুটবল খেলায় ব্লকের ১১টি গ্রামপঞ্চায়েত থেকে ১২টি টিম অংশ নেয়।
খেলা হবে কর্মসূচির পাশাপাশি কোথাও প্রকাশ্য রাস্তায় কেক কেটে, কোথাও আবার ফল বিলি করে মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিন পালন করেন তৃণমূলের নেতা, নেত্রীরা। মালদহের মতো উত্তর দিনাজপুরেও মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিন পালনে দলের নেতানেত্রীদের ভিড়ে উধাও হয়ে যায় স্বাস্থ্য বিধি বলে অভিযোগ তুলে সরব হয় বিরোধীরা। যদিও বিরোধীদের দাবিকে আমল দিতে নারাজ শাসক শিবির।
মালদহ জেলা জুড়েই খেলা হবে কর্মসূচিতে ফুটবল প্রতিযোগিতার উদ্যোগ নেয় যুব তৃণমূল। এ দিকে এই জেলাতেই সংক্রমিত হয়েছেন জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসকেরাও। বইমেলাও স্থগিত হয়েছে। এমন অবস্থায় হবিবপুরের বুলবুলচন্ডীতে যুব তৃণমূলের ঘটা করে ফুটবল প্রতিযোগিতার আয়োজন নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অভিযোগ, কোভিড বিধি অমান্য করে যুব তৃণমূলের উদ্যোগে ফুটবল প্রতিযোগিতা হয়েছে। ছিলেন খোদ যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি চন্দনা সরকারও। তিনি বলেন, “জেলার সর্বত্রই খেলা হবে কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। হবিবপুরে কোভিড বিধি মেনেই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।” মন্তব্য করতে চাননি হবিবপুরের পুলিশ, প্রশাসনের কর্তারা।
চন্দনা বৈষ্ণবনগরের একাধিক হাসপাতালে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে ফল বিলি করেন। শহরে দলীয় কার্যালয়ে কেক কেটে মুখ্যমন্ত্রীর জন্মদিন পালন করেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি এবং অন্যান্য নেতা, নেত্রীরা। উত্তর দিনাজপুরেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। কেক কাটাকে কেন্দ্র করে দলীয় নেতা, কর্মীদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায় রায়গঞ্জ, ইটাহার, কালিয়াগঞ্জ, ইসলামপুরের বিভিন্ন এলাকায়। এমনকি হাসপাতালে ফল বিলিতেও উপচে পড়ে ভিড়। রায়গঞ্জ পুরসভার পুরপ্রধান সন্দীপ বিশ্বাস বলেন, “কোভিড বিধি মেনেই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।” বিজেপির তফসিলি মোর্চার রাজ্য সভাপতি জোয়েল মুর্মু বলেন, “বিজেপির অনুষ্ঠান করলেই করোনা ছড়াবে। তৃণমূলের কর্মসূচিতে করোনা হয় না”