বিদ্যাসাগর হলে সিপিএমের অনুষ্ঠান
আজ, সোমবার ঝাড়গ্রাম সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে পাশের জেলা পশ্চিম মেদিনীপুর সাক্ষী রইল অন্য রকম ‘সৌজন্যে’র।
পশ্চিম মেদিনীপুরের সদর শহর মেদিনীপুরে রবিবার তৃণমূল ও সিপিএম, দুই দলেরই কর্মসূচি ছিল। কর্মসূচির স্থানও ছিল এক, বিদ্যাসাগর হল। জেলা সিপিএমের উদ্যোগে এ দিন সুকুমার সেনগুপ্ত স্মারক বক্তৃতা ছিল। আর সভা ছিল জেলা তৃণমূলের। অগত্যা তৃণমূলের কাছে ‘অনুরোধ’ করে সিপিএম। সেই অনুরোধে সাড়াও দেয় তৃণমূলও। শেষমেশ তৃণমূলের সভা আর হলের মধ্যে হয়নি। হয়েছে মুক্তমঞ্চে।
জানা গিয়েছে, আগে হল ‘বুক’ করেছিল সিপিএমই। ঠিক ছিল, দুপুর দু’টোয় স্মারক বক্তৃতা শুরু হবে। প্রধান বক্তা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রীদীপ ভট্টাচার্য। এ দিকে, শহরের এই হলে শুধু তৃণমূলের জেলার সভা নয়, দলের ছাত্র শাখা, সংখ্যালঘু শাখার সভা আয়োজনেরও ঘোষণা করা হয়েছিল। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভা শুরু হয় বেলা এগারোটা থেকে। বারোটার দিকে হলের সামনে এসে চমকে ওঠেন সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কীর্তি দে বক্সী। চারপাশ তৃণমূলের পতাকায় ছয়লাপ। ততক্ষণে দলীয় সভায় যোগ দিতে তৃণমূলের নেতারা যেমন এখানে আসতে শুরু করেছেন, তেমন স্মারক বক্তৃতা শুনতে সিপিএমের নেতারও এখানে আসতে শুরু করেছেন। দু’দলের নেতারাই হলের বাইরে দাঁড়িয়ে। হলের ভিতরে তখন চলছে টিএমসিপি-র সভা।
বাইরে মুক্তমঞ্চে তৃণমূলের সভা।
উপায়ন্তর না দেখে তৃণমূল জেলা সভাপতি অজিত মাইতিকে ফোন করেন কীর্তি দে বক্সী। জানান, আগে থেকেই হল তাঁরা ‘বুক’ করে রেখেছেন। সব শুনে আশ্বস্ত করেন অজিতবাবু। জানান, কোনও সমস্যা হবে না। তৃণমূলের সভা হলের বাইরে মুক্তমঞ্চে হবে। শেষমেশ তাই হয়। আর হলে সিপিএমের কর্মসূচি হয়েছে।
কীর্তিবাবু মানছেন, ‘‘দুপুরে হলে এসে দেখি, তৃণমূলের লোকজন রয়েছে। তাই তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে ফোন করেছিলাম।’’ অজিতবাবু বলেন, ‘‘উনি ফোন করেছিলেন। দলের সভা হলের মধ্যে হয়নি। বাইরে হয়েছে।’’
কেন দু’দলকে একই দিনে একই সময়ে হল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হল? বিদ্যাসাগর হলের এক আধিকারিকের ব্যাখ্যা, ‘‘একই সময়ে হল ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়নি। একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে!’’
নিজস্ব চিত্র