extorsion

সাট্টায় পুলিশের তোলা, নালিশ তৃণমূল নেতারই

মঙ্গলবারে নরেন্দ্রপুরে তৃণমূলের দলীয় সভায় স্থানীয় বিধায়ক ও জেলা সভাপতির উপস্থিতিতেই এলাকায় সাট্টা ও মদ বিক্রি নিয়েও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুললেন তৃণমূলেরই এক পঞ্চায়েত সদস্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২২ ০৬:৩২
Share:

তৃণমূলের নেতাদেরই রোষের মুখে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।

মদ, মাদক নিয়ে সরাসরি পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার দিকে আঙুল তুলতে শুরু করেছেন শাসক দলের নেতারাই।

Advertisement

এতদিন এই অভিযোগ তুলছিল বিরোধীরা। কিন্তু, এ বার তৃণমূলের নেতাদেরই রোষের মুখে পুলিশ। সম্প্রতি নৈহাটি এক ব্যক্তি খুনের পরে বারাসতের আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমান অভিযোগ করেন, পুলিশের নাকের ডগায় বসে পুলিশেরই মদতে মাদক ব্যবসা চলছে রমরম করে।

মঙ্গলবারে নরেন্দ্রপুরে তৃণমূলের দলীয় সভায় স্থানীয় বিধায়ক ও জেলা সভাপতির উপস্থিতিতেই এলাকায় সাট্টা ও মদ বিক্রি নিয়েও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুললেন তৃণমূলেরই এক পঞ্চায়েত সদস্য। ওই পঞ্চায়েত সদস্যের বক্তব্য, পুলিশ আসে। মদ, সাট্টা জুয়ার ঠেক থেকে টাকা নিয়ে চলে যায়।

Advertisement

সম্প্রতি নরেন্দ্রপুরে বোমার ঘায়ে আহত হয়েছে পাঁচ নাবালক। এলাকা থেকে প্রচুর বোমা ও আগ্নেয়াস্ত্রও উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে সাত জনকে। ঘটনার কয়েকদিন পরে দাসপাড়া মোড়ে বিজেপি একটি পথসভা করেছিল। এলাকায় বোমাবাজি ও দুষ্কৃতী কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল অন্য বিরোধীরাও।

মঙ্গলবার বিকেলে বিরোধীদের পাল্টা সভা করে শাসক দল। যে সভাতে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী, সোনারপুর উত্তর বিধানসভার বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও সোনারপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। তাঁদের সামনেই পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেন খেয়াদহ-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য সঞ্জয় মণ্ডল। প্রকাশ্য সভায় তাঁর দাবি, এলাকায় সাট্টা, জুয়া ও মদ বিক্রি নিয়ে নরেন্দ্রপুর থানায় জানিয়েও কোনও প্রতিকার হচ্ছে না। পুলিশের তরফে এলাকায় মদ, সাট্টা ও জুয়ার ঠেক বন্ধ করা হয়নি। উল্টে পুলিশ মদ, সাট্টা ও জুয়ার ঠেক থেকে টাকা নিচ্ছে। ওই সাট্টা ও জুয়ার ঠেকের জন্য বহিরাগত দুষ্কৃতীরা এলাকায় আসছে এবং অসামাজিক কাজকর্ম করছে।

এ ভাবে প্রকাশ্য সভায় পুলিশের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত সদস্য সরাসরি অভিযোগ তোলায় উপস্থিত স্থানীয় বিধায়ক ফিরদৌসী বেগম ও জেলা সভাপতি অস্বস্তিতে পড়ে যান।

সভা শেষে বিধায়ক সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত সদস্যের অভিযোগ শুনেছি। আমরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ নিয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে আলোচনা করে আইনি ব্যবস্থা নেব।’’ নরেন্দ্রপুর থানার দাবি, এখনও পর্যন্ত পুলিশের কাছে সাট্টা, জুয়া ও মদ বিক্রির বিষয়ে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement