ছেলে শুভ্রাংশুকে কী বললেন মুকুল? গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
বাবা নিখোঁজ। মুকুল রায়ের দিল্লিযাত্রা নিয়ে প্রথমে এমনই অভিযোগ করেছিলেন শুভ্রাংশু রায়। পরে অপহরণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ তোলেন। দাবি করেন, এর পিছনে টাকার খেলা রয়েছে। বাবার সঙ্গে তিনি কথা বলতে পারছেন না বলে উদ্বেগও প্রকাশ করেছিলেন তৃণমূল নেতা শুভ্রাংশু।
কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল যে নিখোঁজ নন, অপহৃত নন, তা অবশ্য প্রথম থেকেই সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করে এসেছেন মুকুল। তবে শুভ্রাংশু জানিয়েছিলেন, বাবা ঠিক মতো ওষুধ খাচ্ছেন কি না, ইনসুলিন নিচ্ছেন কি না তা নিয়ে তিনি খুবই উদ্বিগ্ন। বুধবার জানালেন, বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে। পুলিশের মাধ্যমে টেলিফোনে শুভ্রাংশু কথা বলেছেন মুকুলের সঙ্গে।
বুধবার শুভ্রাংশু বলেন, ‘‘পুলিশের মাধ্যমে বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে। এখনও অবধি দু’বার কথা হয়েছে। আমি তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলাম, সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, আমাকে জানিয়ে দিল্লি আসার কথা! সেটা কি ঠিক? বাবা জানিয়েছেন, তিনি আমাকে বা পরিরারের কাউকে জানিয়ে দিল্লি আসেননি। আমি জানতে চেয়েছি, তুমি যেটা করছ, সেটা সজ্ঞানে করছ তো? জবাবে বাবা ‘হ্যাঁ’ বলেন।’’ তবে প্রথম থেকে শুভ্রাংশু মুকুলের মানসিক সুস্থতা নিয়ে যে প্রশ্ন তুলে আসছেন তারও উল্লেখ করেন। তাঁকেও বিজেপিতে যোগ দেওয়ানোর যে মন্তব্য মুকুল করেছেন সেই প্রসঙ্গে শুভ্রাংশু বলেন, ‘‘বাবা দিল্লি গিয়ে সিপিএমকে বাংলা থেকে সরানোর কথা বলেছেন। দিল্লির সাংসদ-বিধায়ক হিসেবে দিল্লি এসেছেন বলে জানিয়েছেন। আমি আপনাদের মেডিক্যাল রিপোর্ট দেখিয়েছি। আপনার যে কোনও হাসপাতালে গিয়ে এই রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন করতে পারেন। বাবা কবে ফিরবেন বলেননি, আমি জানতেও চাইনি।’’
বুধবার সকালেই বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেছিলেন, ‘‘ছেলের অত্যাচারের জন্যই মুকুল রায় দিল্লি চলে গিয়েছেন।’’ এরও জবাব দিয়েছেন শুভ্রাংশু। তিনি বলেন, ‘‘দিলীপ ঘোষকে নিয়ে আমি কী বলব ঠিক জানি না। আমি এই রকম শিক্ষা কোনও দিন পাইনি। বাবা রাজনৈতিক কারণে বরাবরই বাইরে থাকতেন। তিনি ফিরে এসে ঠাকুমা, দাদুর সঙ্গে কেমন ব্যবহার করতেন, আমি তা দেখেছি। আমার সব আত্মীয়স্বজনরা এখানেই থাকেন। বাবার উপরে আমি কোনও অত্যাচার করেছি কি না, সেটা তাঁরাই বলবেন।’’