Sandeshkhali Incident

শিবু হাজরাও গ্রেফতার! সন্দেশখালি ‘ত্রিভুজের’ দুই অভিযুক্ত ধরা পড়ে গেলেও এখনও অধরা শাহজাহান

ন্যাজাট থেকে শিবপ্রসাদ হাজরা গ্রেফতার হয়েছেন। সন্দেশখালিকাণ্ডে সদ্য গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করেছে পুলিশ। তাতে অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে শেখ শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

সন্দেশখালি শেষ আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:১৫
Share:

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ

সন্দেশখালি নিয়ে পুলিশের সাংবাদিক বৈঠকের অব্যবহিত পরে গ্রেফতার হলেন তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ ওরফে শিবু হাজরা। শেখ শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ ওই নেতা ‘পলাতক’ ছিলেন। শনিবার ন্যাজাট থানা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্রে খবর। বস্তুত, সন্দেশখালিকাণ্ডে সদ্য গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করেছে পুলিশ। তাতে অভিযুক্ত হিসাবে নাম রয়েছে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দার এবং তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদের। পাশাপাশি, খুনের চেষ্টার ধারাতেও মামলা রুজু হয়েছে।

Advertisement

বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘ন্যাজাট থানা এলাকা থেকে শিবপ্রসাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামিকাল (রবিবার) তাঁকে আদালতে হাজির করানো হবে।’’

বস্তুত, সন্দেশখালি-২ ব্লকের সভাপতি শিবুর নাম উঠে আসে শাহজাহানের সূত্র ধরে। গত ৫ জানুয়ারি শাহজাহানের বাড়িতে ইডির তল্লাশি করতে যাওয়া এবং আধিকারিকদের আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে আর দেখা মেলেনি তৃণমূল নেতার। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে শিবুও ‘নিখোঁজ’ ছিলেন। এর মধ্যে শিবুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেছেন সন্দেশখালির স্থানীয় মহিলাদের একাংশ। গত ৭ ফেব্রুয়ারি ওই তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের অভিযোগে গর্জে ওঠে সন্দেশখালি। ভাঙচুর চলে জেলা পরিষদের সদস্য তথা তৎকালীন অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি উত্তমের বাড়ি। পর দিন ভাঙচুর করা হয় শিবুর বাগানবাড়ি এবং মুরগির খামার। আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয় ওই খামারে।

Advertisement

স্থানীয় মহিলারা অভিযোগ করেন, রাতবিরেতে তৃণমূলের বৈঠকের নাম করে বিভিন্ন জায়গায় ডেকে নিয়ে যেতেন শিবু এবং উত্তম। কখনও-সখনও শিবুর বাগানবাড়িতেও যেতে হত মহিলাদের। ওই যৌন নিগ্রহের অভিযোগ নিয়ে ইতিমধ্যে শোরগোল রাজ্য তথা দেশে। তার মধ্যে শনিবার ‘অধরা’ শিবুর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের মামলা রুজু হয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এক মহিলার গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা উত্তম এবং শিবুর বিরুদ্ধে মামলায় গণধর্ষণের ধারা যোগ করা হয়েছে। শনিবার উত্তমকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে তাঁকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতে চাওয়া হয়। আর তার পরেই শিবুর গ্রেফতারির খবর সামনে এসেছে।

ধৃত উত্তমকে গত সপ্তাহেই ছ’বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে তৃণমূল। সন্দেশখালিতে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ইঙ্গিত দেন, প্রয়োজনে শিবুর বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করতে পিছপা হবে না তৃণমূল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement