টুইট-যুদ্ধ তুঙ্গে। ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ শান্তনু সেনের সঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিবাদ নতুন মাত্রা পেল। শান্তনুর কন্যা নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছেন বলে অভিযোগ তোলেন সুকান্ত। এর পরে সেই অভিযোগকে চ্যালেঞ্জ করে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দেন শান্তনু। সোমবার সুকান্ত নতুন প্রশ্ন তুলে টুইটে লিখেছেন, র্যাঙ্কের দিক থেকে অনেকটা পিছিয়ে থেকেও শান্তনু কন্যা কী ভাবে কলকাতার আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেলেন? সেই টুইটের প্রেক্ষিতে নতুন করে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি শান্তনুর। একই সঙ্গে সুকান্তের সন্তানদের জন্য শুভকামনাও জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ।
রবিবার সুকান্ত একটি টুইট করে দাবি করেন, নিট (এনইইটি) উত্তীর্ণ না হয়েই ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছেন শান্তনুর কন্যা সৌমিলি সেন। তবে কী ভাবে নিট উত্তীর্ণ না হয়েই সৌমিলি ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেলেন তার কোনও উল্লেখ নেই সুকান্তের টুইটে। সুকান্ত আরও একটি অভিযোগ করেছেন। এর জবাবে শান্তনু আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘আমার মেয়ে বরাবরই মেধাবী। নিজের মেধার জোরেই ও ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছে। সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। এটা জানা দরকার যে এনইইটি উত্তীর্ণ না হতে পারলে কেউ ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পায় না।’’ পাল্টা টুইট করে আইনি পদক্ষেপ করার হুমকিও দেন শান্তনু।
সোমবার নতুন একটি টুইটে নথি দিয়ে সুকান্ত দাবি করেছেন, নিটের ফলে সৌমিলির র্যাঙ্ক ছিল ১ লাখ ২১ হাজার ৪৩৭। তা সত্বেও কী করে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি সুকান্ত দাবি করেছেন ‘সুবর্ণ বণিক সমাজ’ নামে ট্রাস্টের কোটায় ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছেন সৌমিলি। তার সঙ্গে একটি নথিও পোস্ট করেছেন। এর পরে প্রশ্ন তুলেছেন, এখনও কী আইনি পদক্ষেপের কথাই ভাবছেন শান্তনু?
জবাবে সোমবার শান্তনুও একটি টুইট করেছেন। সেখানে তিনি বিজেপিকে আক্রমণ করে তাঁর মেয়ের উপরে মানসিক চাপ তৈরির অভিযোগ তুলেছেন। বাবার সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াইয়ে না পেরেই কন্যাকে আক্রমণ। সঙ্গে সুকান্তের উদ্দেশে লিখেছেন, ‘‘আমি আপনার সন্তানদের চিনি না। আমার মেয়ের সঙ্গে তাদের তুলনা না করেই আমি শুধু বলব, ঈশ্বর ওদের মঙ্গল করুন।’’