TMC

দলবিরোধী কথা বলছি মনে হলে ব্যবস্থা নিন, খোলা চ্যালেঞ্জ সব্যসাচীর

মঞ্চ থেকে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীকে তীব্র ব্যঙ্গ করে বলেন,‘‘দফতরের নাম পাওয়ার। অথচ মন্ত্রীর নিজেরই কোনও পাওয়ার নেই।” তিনি আরও বলেন, ‘‘সারাজীবন শুনেছি তিনি শ্রমিক আন্দোলন করে নেতা হয়েছেন। আজকে মঞ্চে এসে বলতে পারতেন যে, তিনি অপারক। সেটা শুনলেও খুশি হতাম। কিন্তু পদের মোহে, মন্ত্রিত্ব হারানোর ভয়ে তিনি আসেননি।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০১৯ ১৯:০৩
Share:

বিদ্যুৎ ভবনের বিদ্যুৎ কর্মীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সব্যসাচী দত্ত।

ফের বিতর্ক বাড়ালেন বিধাননগরের মেয়র তথা রাজারহাট-নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। বিদ্যুৎ কর্মীদের মঞ্চে দাঁড়িয়ে বেপরোয়া ভঙ্গিতে আক্রমণ করলেন খোদ বিদ্যুৎমন্ত্রীকে। শুধু তাই নয়, মঞ্চ থেকে খোলাখুলি চ্যালেঞ্জওছুড়লেন। জানিয়ে দিলেন, কারও যদি মনে হয় তিনি দলবিরোধী, তা হলে ব্যবস্থা নিক দল।

Advertisement

শুক্রবার সল্টলেকের বিদ্যুৎ ভবনের সামনে আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃত্ব দেন সব্যসাচী দত্ত।বিদ্যুৎ কর্মীদের বেতন বাড়ানোর দীর্ঘদিনের দাবি এবং ডিএ প্রসঙ্গেই ছিলএ দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচী। সেখানেই বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের নাম না করে তাঁকে আক্রমণ করেন সব্যসাচী। মঞ্চ থেকে রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রীকে তীব্র ব্যঙ্গ করে বলেন,‘‘দফতরের নাম পাওয়ার। অথচ মন্ত্রীর নিজেরই কোনও পাওয়ার নেই।” তিনি আরও বলেন, ‘‘সারাজীবন শুনেছি তিনি শ্রমিক আন্দোলন করে নেতা হয়েছেন। আজকে মঞ্চে এসে বলতে পারতেন যে, তিনি অপারক। সেটা শুনলেও খুশি হতাম। কিন্তু পদের মোহে, মন্ত্রিত্ব হারানোর ভয়ে তিনি আসেননি।”

রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে এ ভাবে শাসক দলের নেতা প্রকাশ্যে মন্তব্য করছেন! ফলে অনেকেই তাঁকে দলবিরোধী বলে ভাবতে পারেন বলেও এ দিন জানিয়েছেন তিনি। নিজের ভাষণেই তিনি চ্যালেঞ্জ ছোড়েন, ‘‘কেউ মনে করতেই পারেন, আমি কোনও দলের কর্মী এবং দলবিরোধী কথা বলছি। তা হলে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। আমার কোনও আপত্তি নেই।” এ দিন তাঁর সামনেই আন্দোলনকারীদের একাংশ বিদ্যুৎ ভবনে ভাঙচুর চালায় বলেও অভিযোগ উঠেছে।পুলিশ ভাঙচুরের ঘটনায় একটি মামলা শুরু করেছে।

Advertisement

আরও পড়ুন :ব্যান্ডেল স্টেশনে তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনায় পটনা থেকে গ্রেফতার বিজেপি নেতা

এ দিন পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সব্যসাচীর নেতৃত্বে বিদ্যুৎকর্মীরা বিদ্যুৎ ভবনের ভিতরে ঢোকেন। সব্যসাচীকে সেখানে বলতে শোনা যায়,‘‘এখানে এসে শুনলাম নতুন চেয়ারম্যান এসেছেন। তাই তাঁকে আরও এক মাস সময় দিলাম, বিদ্যুৎকর্মীদের বেতন সংক্রান্ত দাবি দাওয়া মেটাতে। আমরা চেয়েছিলাম, মোট লাভের ১০ শতাংশ কর্মীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হোক। আগামী ১৫ অগস্ট ফের আসব। আমাদের দাবি আদায় করতে।”

লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই সব্যসাচী দত্তকে নিয়ে বিতর্ক। কখনও মুকুল রায়কে বাড়িতে লুচি-আলুর দম খাওয়ানো।কখনও আবার কোনও অনুষ্ঠানে ‘ভারত মাতা কি জয়’ স্লোগান। খোদ দলনেত্রীর বক্তব্য নিয়েও প্রশ্ন তুলতে ছাড়েননি তিনি।দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা, মুকুল রায়ের এক সময়েরঘনিষ্ঠ সহচর হিসাবে পরিচিত ‘অহি’ দত্ত মুকুলের হাত ধরেই পা বাড়াচ্ছেন পদ্ম শিবিরে। কিন্তু তাঁকে যত বারই এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে, তিনি কখনওই তা স্বীকার করেননি। সেই সব্যসাচীর এ দিনের বেপরোয়া মেজাজ সেই জল্পনাই আরও বাড়িয়ে দিল।

আরও পড়ুন :বিধায়কদের দৈনিক ভাতা বেড়ে হল দ্বিগুণ, মন্ত্রীদেরও বাড়ল ৫০ শতাংশ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement