কাঁদলেন তৃণমূল নেতা কৃষ্ণেন্দু মিত্র।
দিকে দিকে কার্যত বিজেপি-তে যোগ দিচ্ছেন ছোট, বড়, মাঝারি অনেক তৃণমূল নেতা। তা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতর অব্যাহত। কিন্তু সেই যোগদান ঘিরে এমন ‘কাণ্ড’ ঘটল হুগলির ডানকুনিতে, যা শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বৃহস্পতিবার বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে কেঁদে ভাসালেন ডানকুনির প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর কৃষ্ণেন্দু মিত্র।
ডানকুনি পুরসভার প্রাক্তন ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশিস মুখোপাধ্যায় তৃণমূল ছেড়ে আগেই বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গেই পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছেন আরও দুই প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রীতি গুপ্ত এবং মীনা কুমারীও। এর পরেই কৃষ্ণেন্দুও বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতিবার ডানকুনিতে বিজেপি-র যোগদান মেলা কর্মসূচি ছিল। সেখানেই দিলীপ ঘোষের হাত থেকে গেরুয়া পতাকা ধরতে পারেন বলে সম্ভাবনা আরও জোরদার হয়।
এই জল্পনার জেরেই কৃষ্ণেন্দুর ক্ষোভ মিটিয়ে তৃণমূলে ধরে রাখতে তাঁর বাড়িতে নিজের ছেলেকে কৃষ্ণেন্দুর বাড়িতে পাঠান চণ্ডীতলার বিধায়ক স্বাতী খন্দকার। বিধায়ক নিজেও তাঁকে ফোন করেন। সেই ফোন পাওয়ার পর আর নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি কৃষ্ণেন্দু। কাঁদতে কাঁদতেই নিজের ক্ষোভের কথা জানান বিধায়ককে।
দেখুন ভিডিয়ো:
আরও পড়ুন: ‘কুপুত্র’ শুভেন্দুর সঙ্গে বিধানসভায় লড়তে তৈরি হচ্ছেন ‘নন্দীগ্রামের মা’
কান্নাভেজা গলাতেই কৃষ্ণেন্দু বলেন, ‘‘তৃণমূল আমাকে ছাড়তেই হবে। কারণ এই দলে কোনও সম্মান পাই না।’’ কিন্তু কাঁদলেন কেন? কৃষ্ণেন্দুর বক্তব্য, ‘‘দলের মধ্যে অসম্মান। তবু বিধায়ক আমাকে যে রকম ভালবাসেন, তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা আমার থাকবেই।’’
আরও পড়ুন: অপসারণকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টে কনিষ্ঠ অধিকারী
তবে তিনি যে বিজেপি-তে যোগ দেবেন, সে কথাও ফোনে জানিয়ে দেন তিনি।