হাওড়ায় রামনবমীর মিছিলের বন্দুকধারী যুবক ধৃত মুঙ্গের থেকে, শুরু রাজনীতি। — ফাইল ছবি।
বিহারের মুঙ্গের থেকে হাওড়ায় রামনবমীর মিছিলে বন্দুকধারী যুবককে গ্রেফতার করেছেন হাওড়া পুলিশের গোয়েন্দারা। তাঁকে বাংলায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। এই বন্দুকধারীর ভিডিয়োই টুইট করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার তা নিয়ে শুরু হয়ে গেল রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষের দাবি, বিজেপি মুঙ্গের থেকে দুষ্কৃতী এনে বাংলায় গোলমাল করছে। গ্রেফতারির ঘটনায় তা স্পষ্ট হয়ে গেল। পাল্টা তৃণমূলকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।
রামনবমীর মিছিলে বন্দুকধারীর গ্রেফতারির সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপান-উতোর। কুণালের দাবি, রামনবমীর মিছিলে বিজেপি পরিকল্পনা করে গোলমাল বাধিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, যাঁদের দিয়ে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা হয়েছিল, তাঁদেরই একজনকে মুঙ্গের থেকে গ্রেফতার করেছে বাংলার পুলিশ। কুণাল বলেন, ‘‘প্রশ্ন হচ্ছে, মুঙ্গের বাহিনীকে হাওড়ায় এনে গন্ডগোল করাল কারা? এই বিজেপি। বিজেপি বার বার অস্বীকার করছে। বিজেপির মুখোশ খুলে গিয়েছে। বিজেপি বড় বড় কথা বলছিল, কেন এখনও গ্রেফতার হল না! মুঙ্গের থেকে গ্রেফতার করে এনেছে সুমিত সাউকে। সে স্বীকার করেছে। ছবি মিলে গিয়েছে। কারা ওই মিছিলে তাঁকে ঢুকিয়েছিল? কাদের প্ররোচনায় মুঙ্গের থেকে এসে এখানে অস্ত্র নিয়ে ঢুকে গেল! আর কটা অস্ত্র ছিল? সিআইডি তদন্তে সমস্ত বেরিয়ে আসবে। বিজেপির একজন চক্রান্তকারীও যেন ছাড়া না পায়।’’
বিজেপি অবশ্য কুণালকেই পাল্টা কটাক্ষ করেছে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, তৃণমূলেরই লোক ধৃত সুমিত সাউ। বিজেপি নেতা তথা কাউন্সিলর সজল ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের আগে দেখতে হবে ধৃত সুমিত সাউ তৃণমূলেরই প্ল্যান্ট করা লোক কি না। যাঁকে মুঙ্গের থেকে গ্রেফতার করে আনতে পারে হাওড়া পুলিশ, তাঁকে কী করে রিভলভার নিয়ে মিছিলে ঢুকতে দেয়! লালা, আব্দুল লতিফ, এনামুলকে ধরতে পারে না যে পুলিশ, তারাই চট করে গিয়ে কী সুন্দর নিয়ে চলে এল!’’