আফরোজ সরকার (বাঁ দিকে)। হাঁসখালির নির্যাতিতার বাড়ি (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
হাঁসখালির গণধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায় মিছিল করেছিল বামেরা। সেই মিছিলের উদ্যোক্তাদের আক্রমণ করতে গিয়ে একের পর এক বেফাঁস মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূলের স্থানীয় ব্লক সভাপতি। তাঁর মন্তব্যের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিতর্কিত ওই তৃণমূল নেতা আফরোজ সরকারকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বামেরা।
বামেদের আক্রমণ করতে তৃণমূলের ভগবানগোলার ব্লক সভাপতি আফরোজ একটি ভিডিয়োবার্তা দেন। সেখানে সরাসরি বামেদের আক্রমণ করে তাঁকেকে বলতে শোনা যায়, ‘‘যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে, ঠান্ডা করে দেব। রাজ্য সরকার বা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে বেশি কথা বললে, আমি মাঠে নেমে ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করে দেব।’’
তাঁর দাবি ধর্ষণ নিয়ে অকারণ মিছিল করছে সিপিএম। ভাইরাল ওই ভিডিয়োয় আফরোজকে বলতে দেখা যায়, ‘‘ধর্ষণ হলে প্রমাণ দেখান। এমনি ফালতু ফালতু একটা মিছিল করে দিচ্ছে। মমতাদির নামে উল্টোপাল্টা কথা যদি বেশি বলে, তা হলে কিন্তু আমরা রাস্তায় নামব। একদম ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করে দেব। এমন ঠান্ডা করব, যে বাড়ি থেকে বেরোতে পারবে না।’’ তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই তিনি ‘দিদি’র সঙ্গে আছেন বলে দাবি করেছেন আফরোজ। পাশাপাশি জানিয়েছেন, পদের কোনও লোভ তাঁর নেই।
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরে তৃণমূলকে আক্রমণ শানিয়েছে সিপিএম। রাজ্য সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় এরা এতই অনুপ্রাণিত যে ঠিকমতো কথাও বলতে পারছে না। স্থির হয়ে বসতেও পারছে না। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত আগে তাঁকে গ্রেফতার করা এবং যথাযত শাস্তির ব্যবস্থা করা। যাতে বোঝা যায়, পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন আছে।’’