শাহের সভার আগে ‘চরিত্র’ লড়াই তৃণমূল ও বিজেপির। গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
দুর্নীতির অভিযোগে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং বর্তমান মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলে। এ ছাড়াও জেলে রয়েছেন তৃণমূলের দুই বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য এবং জীবনকৃষ্ণ সাহা। তিহাড় জেলে বন্দি বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এর পরে তৃণমূলের শীর্ষস্তরের আরও নেতা ও মন্ত্রী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে গ্রেফতার হতে পারেন বলে অনেক দিন ধরেই দাবি করে আসছে বিজেপি। অনেক বার তারিখও ঘোষণা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি তিনি ফের ডিসেম্বর মাসের কথা বলেছেন। সেই আবহে বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে কলকাতায় এসে বাকি গ্রেফতার নিয়ে বার্তা দিতে পারেন। শাহ আসার ২৪ ঘণ্টা আগে এমন মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
সোমবার রাত থেকেই ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে বিজেপির মঞ্চ তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সেই কাজের অগ্রগতি দেখতে এসেছিলেন সুকান্ত। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘আমরা বাংলার পরিস্থিতির কথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরব। তিনিও বাংলার পরিস্থিতির কথা বলবেন। এবং চোরেরা যে আগামী দিনে জেলে যাবে, যেটা বাংলার মানুষ চাইছে সেই আশ্বাসও তিনি দেবেন।’’
বিজেপির এই সভা নিয়ে মঙ্গলবার সকালেও আক্রমণ শানায় তৃণমূল। রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘কে গব্বর সিং আসছে! মমতার জয়-বীরুও তৈরি আছে। এদের পায়ের তলায় কোনও জমি নেই। এরা নিজেদের সংগঠন চালাতে পারে না। এ বার অমিত শাহজি আসবেন। এর পায়ে পড়ে কাঁদবেন। মোদী ও অমিত শাহ একুশে ডেলি প্যাসেঞ্জারি করেও কিছু করতে পারেননি। এ বার একা অমিত শাহ আসবেন, দুশো পার, পগার পার।’’
সরাসরি না বললেও ফিরহাদ যে ‘শোলে’ ছবির খলনায়ক গব্বর সিংহ (আমজাদ খান)-কে বোঝাতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট। কারণ, একই সঙ্গে তিনি জয় (অমিতাভ বচ্চন) এবং বীরু (ধর্মেন্দ্র)-র কথা বলেছেন। এর জবাবে আবার সুকান্তও এনেছেন চলচ্চিত্রের উদাহরণ। তিনি আবার অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘গব্বর ইজ় ব্যাক’ ছবির কথা বলেছেন। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘‘ফিরহাদ হাকিম সাহেবের কি ‘গব্বর ইজ় ব্যাক’ ছবির কথা মনে আছে! সেখানে ছবির গব্বর দুর্নীতিবাজদের ধরে ধরে শাস্তি দেয়। সেই অর্থে সত্যিই বুধবার গব্বর আসছেন। তিনি বাংলার দুর্নীতিবাজ, চোরেদের জেলে ঢোকাবেন।’’