Bratya Basu-CV Ananda Bose

মেয়াদ ‘ফুরিয়ে যাওয়া’ উপাচার্যদের নিয়োগ নিয়ে সার্চ কমিটি গঠন: ব্রাত্যের আঙুল রাজ্যপালের দিকে

রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে গত বছর থেকেই চলছে রাজ্য-রাজ্যপাল ‘দ্বন্দ্ব’। রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৭টিতে গত বছর অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল।

Advertisement

শান্তশ্রী মজুমদার

বালুরঘাট শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৪:৪৩
Share:

(বাঁ দিকে) রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ভোট-প্রচারে গিয়ে রাজভবনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শনিবার বালুরঘাটে তাঁর দাবি, কার্যকালের মেয়াদ ‘ফুরিয়ে যাওয়া’ উপাচার্যদের বদলে নতুন নিয়োগের জন্য রাজ্যের তরফে ‘সার্চ কমিটি’ গড়ার প্রস্তাব রাজভবনে জমা পড়লেও, তা ‘ফেলে রেখেছেন’ আচার্য তথা রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। ব্রাত্যের দাবি, “এটা এক রকম রাজনীতি।” এ ব্যাপারে রাজভবনের বক্তব্য মেলেনি। তবে বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী তথা দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “রাজ্য সরকার আগেই স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করতে পারত।”

Advertisement

রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে গত বছর থেকেই চলছে রাজ্য-রাজ্যপাল ‘দ্বন্দ্ব’। রাজ্যের ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২৭টিতে গত বছর অস্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল। সেই উপাচার্যদের কার্যকালের মেয়াদ ছ’মাস পেরিয়ে যাওয়ার পরে, প্রথমে কলকাতা হাই কোর্ট, পরে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। উচ্চ শিক্ষা দফতর সূত্রে দাবি, দেশের শীর্ষ আদালত কেন্দ্রীয় অ্যাটর্নি জেনারেল আর বেঙ্কটরামানিকে দায়িত্ব দেয় রাজভবন এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ‘সার্চ কমিটি’ গড়ার জন্য।

বালুরঘাটে ভোট-প্রচারে এসে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে দু’দিন ধরেই সরব ছিলেন ব্রাত্য। দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব জমি, তাতে পাঁচিল থাকলেও ভবন তৈরি হয়নি। এখানে-ওখানে সরিয়ে কোনও ভাবে চলছে প্রতিষ্ঠান। ব্রাত্য শনিবার দাবি করেন, রাজ্যপালের নিয়োগ করা উপাচার্যদের কার্যকালের মেয়াদ ফুরিয়েছে। তিনি বলেন, “নতুন উপাচার্য নিয়োগের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এবং রাজ্যপালের প্রতিনিধিদেরও রেখে সার্চ কমিটি গড়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু তা নিয়ে সাড়াশব্দ করছেন না রাজ্যপাল।”

Advertisement

তবে উপাচার্যদের কার্যকালের মেয়াদ ‘ফুরিয়েছে’ বলে মন্ত্রীর দাবির সঙ্গে সহমত নন রাজ্যপালের নিয়োগ করা অস্থায়ী উপাচার্যদের অনেকে। উত্তরবঙ্গের অন্য এক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, “অন্তর্বর্তী উপাচার্যদের নতুন নির্দেশ না মেলা পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।” সুকান্তের বক্তব্য, “বিশ্ববিদ্যালয়গুলি চালাতে পারছিল না রাজ্য। পরিকাঠামো, শিক্ষা— কোনও দিকেই নজর ছিল না। কেন রাজ্যপালকে হস্তক্ষেপ করতে হল?”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement