TMC

প্রাথমিকে চাকরির নামে আত্মসাৎ ৮ লক্ষ, নালিশ

২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন ইসমাইল।  শ্বশুরের পরিচিত এক তৃণমূল কর্মীর মাধ্যমে গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বসিরহাট শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০২২ ০৯:০৪
Share:

প্রতীকী ছবি।

প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নাম করে আট লক্ষ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের এক উপপ্রধানের বিরুদ্ধে। চাকরি মেলেনি। উল্টে টাকা চাইতে গেলে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ‘গাঁজা কেসে’ ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। পুলিশ, বিধায়ক, ইডি, সিবিআই, মুখ্যমন্ত্রী, মানবাধিকার কমিশন, আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন ‘প্রতারিত’ ইমান আলি ধাবক ও তাঁর জামাই ইসমাইল মণ্ডল। ইমানের চিকিৎসা চলছে বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে বসিরহাট পুলিশ।

Advertisement

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের স্বরূপনগর ব্লকের গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের পূর্ব পোলতার বাসিন্দা ইমান। তাঁর জামাই ইসমাইল মণ্ডল গাইঘাটা থানার সুবিদপুরের বাসিন্দা। পেশায় তিনি গৃহশিক্ষক।

২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন ইসমাইল। শ্বশুরের পরিচিত এক তৃণমূল কর্মীর মাধ্যমে গোবিন্দপুর পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। ইসমাইলের কথায়, ‘‘উনি বলেছিলেন, তৃণমূলের অনেক বড় নেতা-মন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ আছে। ৮ লক্ষ টাকা দিলে চাকরি পাকা করে দিতে পারেন।’’

Advertisement

ইসমাইলের দাবি, ২০২০ সালের ৯ ডিসেম্বর উপপ্রধানের হাতে নগদ আট লক্ষ টাকা দেন তিনি। কিন্তু প্যানেলে তাঁর নাম ছিল না।এই নিয়ে শুরু হয় গোলমাল।

টাকা ফেরত চাইলে উপপ্রধান নানা ভাবে শ্বশুর-জামাইকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে সালিশি বসে বলেও দাবি ইমানদের। কিন্তু টাকা ফেরত মেলেনি।

দিন চারেক আগে পূর্ব পোলতায় ইমান-ইসমাইলদের উপরে উপপ্রধান লোকজন নিয়ে হামলা চালান বলে অভিযোগ। রবিবার হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ইমান বলেন, ‘‘জামাই টাকা দিয়ে চাকরি পায়নি। টাকাও ফেরত দেননি উপপ্রধান। প্রতিবাদ করায় লোকজন নিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। রড, বাঁশ দিয়ে পেটানো হয় আমাদের। পড়শিরা এসে বাঁচান।’’

উপপ্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তাঁর স্ত্রীর দাবি, ‘‘জমি-জায়গা নিয়ে গোলমালের জেরে মারপিট হয়েছে। স্বামীর বিরুদ্ধে চাকরির নাম করে টাকা নেওয়ার মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।’’

এ বিষয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব সরাসরি মুখ খুলতে চাননি। স্বরূপনগর বিধানসভা কেন্দ্রটি তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার মধ্যে পড়ে। সেখানকার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘শুনেছি জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বিবাদ বেধেছিল। তার পরে অভিযোগ করা হয়। পুলিশ-প্রশাসনকে বলেছি, অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করতে। দলীয় ভাবেও আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement