নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর পরিবারকে আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
আবাস প্লাস প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে। সেই প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর পরিবারকে আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার তৃণমূল ভবনের ভূমিপুজোর অনুষ্ঠানের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেখানেই এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত স্তরে আমাদের কাছে যে সমস্ত অভিযোগ এসেছে, তার বেশির ভাগটাই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে। যাঁদের এবং যে সব প্রকল্প নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তার বেশির ভাগই হয়েছে, ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে। ওই সময়ে ওই জেলার দায়িত্বে কে ছিল, বা কোনও পরিবার ছিল, তা সবাই জানে। আমি আর তাঁর নাম করতে চাইছি না।’’
অভিষেক বলেন, ‘‘আমাদের ভুল হয়েছিল। আমরা একজনকে বিশ্বাস করেছিলাম। তাই তো কাঁথিতে গিয়ে আমি প্রকাশ্য জনসভায় সেখানকার মানুষের কাছে ক্ষমতা চেয়ে এসেছি। কিন্তু সেই বিশ্বাস ভেঙেছে বলে আমরা চুপচাপ বসে থাকতে পারি না। তাই যাঁর বিরুদ্ধে প্রমাণ-সহ অভিযোগ মিলেছে। তাঁকে আমরা দল থেকে বার করে দিয়েছি।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘অথচ বিজেপি তাঁদের নেতা করে, যাঁদের টিভির পর্দায় টাকা নিতে দেখা যায়। যাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তাঁদের বড় বড় পদ দেয় বিজেপি। আর আমরা তাঁদের গলা ধাক্কা দিয়ে পার্টি থেকে বার করে দিই।’’
সম্প্রতি শান্তিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেলিম আলিকে সরানোর নির্দেশ দেন অভিষেক। আর রবিবার বরখাস্ত করা হয় ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কৃষ্ণা সামন্ত রায়কে। ৩ ডিসেম্বর কাঁথির প্রভাতকুমার রায় কলেজের মাঠে জনসভায় যোগ দিতে আসার আগেই মারিশদা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ঢুকে সেখানকার স্থানীয় জনতার সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক। স্থানীয় গ্রামবাসীদের তরফে পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে বিস্তর অভাব অভিযোগ জানানো হয়। পরিষেবা সংক্রান্ত কোনও বিষয়ে জানাতে গেলেও তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ করেছিলেন গ্রামবাসীরা। তার পরেই দলীয় জনসভার মঞ্চে উঠেই মারিশদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও স্থানীয় অঞ্চল সভাপতিকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। নদিয়ার জনসভাতেও নাম করে তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত প্রধানকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেন অভিষেক। এ বার সেই অভিযোগে বিরোধী দলনেতা ও তাঁর পরিবারকে সরাসরি অভিযুক্ত করলেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ।