—প্রতীকী ছবি।
দলের শীর্ষ স্তরে টানাপড়েনের মধ্যেই রাজ্য মন্ত্রিসভায় কিছু রদবদলের প্রস্তাব বিবেচনা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। সদ্যই দলের সাংগঠনিক স্তরে এবং জেলায় জেলায় যুব ও মহিলা নেতৃত্বে বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে। এর পরে মন্ত্রিসভার ক্ষেত্রে খুব বড় না হলেও লোকসভা ভোটের মুখে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সিদ্ধান্ত নিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় সূত্রে ইঙ্গিত, সর্বোচ্চ স্তরে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গেলে কয়েক দিনের মধ্যেই তা কার্যকর করা হতে পারে।
শাসক শিবির সূত্রের খবর, নতুন পূর্ণমন্ত্রী করা হতে পারে দু’এক জনকে। আর প্রতিমন্ত্রী পদেও দু’এক জনের কথা বিবেচনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হতে পারে কাউকে কাউকে। তবে ঠিক কত জন নতুন বিধায়ক মন্ত্রী হবেন বা বাদ পড়বেন, তা নিয়ে চূড়ান্ত পর্বের আলোচনা চলছে। লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজ্য জুড়ে একগুচ্ছ সাংগঠনিক পদে রদবদল করেছে তৃণমূল। জেলা দলের সভাপতি ও চেয়ারম্যান পদের পরে মহিলা ও যুব সংগঠনেও কিছু নতুন মুখ আনা এবং পুরনোদের নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় মন্ত্রিসভাতেও বেশ কয়েকটি বদলের কথা ভেবেছে শাসক দল।
সংগঠনের মতোই মন্ত্রিসভার এই রদবদলের বিষয়টিও বেশ কিছু দিন আগে থেকেই দলের ভিতরে আলোচনায় রয়েছে। দলের একাংশের দাবি, ‘মতৈক্য’ না হওয়ায় বিষয়টি ঝুলেই ছিল। এ বার সে কাজ সেরে ফেলতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। আগামী সপ্তাহে পারিবারিক ও প্রশাসনিক কাজে তিন-চার দিনের জন্য উত্তরবঙ্গে যাওয়ার কথা তাঁর। সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে গেলে তার আগেও তিনি এই রদবদল সেরে ফেলতে পারেন। দলের এক নেতার কথায়, ‘‘নির্বাচনী লড়াইয়ের জন্য কখনও দায়িত্ব পুনর্বণ্টন করতে হয়। এ বার রদবদল হলে সেটা হবে সেই কথা মাথায় রেখেই।’’ তেমন হলে কাউকে মন্ত্রিত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে লোকসভায় প্রার্থীও করা হতে পারে।
এই সূত্রেই জল্পনায় রয়েছে বন দফতর। রেশন সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এখন জেলে। তাঁর দফতর নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছিল। এমতাবস্থায় জ্যোতিপ্রিয়কে মন্ত্রিত্বে রেখে তাঁর দফতরের দায়িত্ব কোনও অন্য কোনও পূর্ণমন্ত্রীকে দেওয়া হবে কি না, তা নিয়েও গুঞ্জন রয়েছে।