২০ কোটি টাকা উদ্ধারের ইডি-দাবির প্রেক্ষিতে কুণাল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত এক আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর তল্লাশি অভিযানে যে ২০ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে, তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। টুইট করে এমনটাই জানালেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
কুণাল টুইটে লেখেন, ‘ইডি যে টাকা উদ্ধার করেছে, তার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। এই তদন্তে যাঁদের নাম আসছে, এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেওয়ার দায়িত্ব তাঁদের বা তাঁদের আইনজীবীদের। কেন দলের নাম জড়িয়ে প্রচার চলছে, দল তা নজর রাখছে। যথা সময়ে বক্তব্য জানাবে।’ কুণাল এ-ও জানান, তৃণমূল কোনও রকম অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবে না।
অর্পিতা মুখোপাধ্যায় নামে যে মহিলার ফ্ল্যাট থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার হয়েছে, তিনি রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে ইডি দাবি করেছে। তদন্তকারীদের আরও দাবি, ‘পার্থ-ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতার বাড়ি থেকে ২০টি মোবাইল ফোনও উদ্ধার হয়েছে। পাওয়া গিয়েছে সোনা ও বৈদেশিক মুদ্রাও।
শুক্রবার রাত ৮টা ১০ নাগাদ ইডির টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি টুইট করা হয়। টুইটে লেখা হয়, ‘পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন এবং পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে নেমে বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।’ এর সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে নগদ টাকার ছবি পোস্ট করা হয়েছে ইডির টুইটার হ্যান্ডেল থেকে। ইডির দাবি, টালিগঞ্জের একটি আবাসনে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে অন্তত ২০ কোটি নগদ টাকা। পরে অর্পিতার বাড়িতে চারটি নোট গোনার মেশিন নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ব্যাঙ্ক আধিকারিকদের ডেকে ওই মেশিন ব্যবহার করে উদ্ধার হওয়া অর্থ গোনা হচ্ছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
এ নিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও টুইট করেছেন। তিনি লেখেন, ‘এসএসসি দুর্নীতি-কাণ্ডে বাংলার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ২০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করেছে ইডি। সূত্রের দাবি, জাতীয় প্রতীকের ছবি লাগানো রাজ্য শিক্ষা দফতরের এনভেলপে ওই টাকা মিলেছে।’
টুইট করেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমও। তিনি লেখেন, ‘যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। যথেষ্ট সময় অতিবাহিত করার পর, অজস্র টাকা দেশে-বিদেশে পাচার হওয়ার পরেও হাত দিতেই এই পরিমাণ টাকা পাওয়া যাচ্ছে। এই টাকা আসলে লুটের টাকা, তোলাবাজি-সহ অসহায় চাকরিপ্রার্থীদের থেকে মোটা ঘুষ নেওয়া টাকা সর্বত্র জমা করা হচ্ছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী টাকা বিলোবার গল্প শোনান আর দেশের প্রধানমন্ত্রী ক্যাশলেস ইকোনমির বাণী ছড়াচ্ছেন। অন্য দিকে, সেই নগদ টাকার পাহাড়ের ছবিতে তৃণমূলের দুর্নীতির হাত ধরে ফুটে উঠছে এই রাজ্যে।’