Cyclone Dana

‘রাত দখলে’র জবাবে এখন তৃণমূলের ‘দানা’

বিজয়া সম্মিলনীর সভা থেকে সমাজমাধ্যম— সর্বত্র এই প্রচারের পাশাপাশি আর জি কর আন্দোলন নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না তৃণমূলের নেতারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:১৩
Share:

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

প্রতিবাদের রাতের সামনে ঘূর্ণিঝড়ের রাত রাখল তৃণমূল কংগ্রেস!

Advertisement

ঝড়ের রাত থেকেই দুর্যোগ মোকাবিলায় দল ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রচারে নেমে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল। বিজয়া সম্মিলনীর সভা থেকে সমাজমাধ্যম— সর্বত্র এই প্রচারের পাশাপাশি আর জি কর আন্দোলন নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না তৃণমূলের নেতারা। তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের বিচার চেয়ে অনুষ্ঠিত ‘রাত দখল’ ও ‘রাস্তা দখল’ কর্মসূচির কথা টেনে তাঁরা প্রশ্ন তুলছেন, মানুষের বিপদে ঝড়ের ‘রাত দখলে’ সেই প্রতিবাদীরা কোথায়? তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের কথায়, ‘‘১৪ অগস্ট বাদে অন্য সব রাতই ছিল ‘নিজস্বী’ আর রাজনীতির দখলে! ঝড়ের রাত দখল ছিল মানুষের পাশে থাকার লড়াই।’’ বিরোধীরা তৃণমূলের এই মনোভাবকেই আর জি করের বিচার-বিরোধী মানসিকতা হিসেবে উল্লেখ করছে।

ঝড় মোকাবিলার প্রক্রিয়া নজরে রাখতে বৃহস্পতিবার রাতে নবান্নে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা ও রাজ্য প্রশাসনে সমন্বয়ের লক্ষ্যে তাঁর সেই ভূমিকা রাত থেকেই প্রচারে নিয়ে এসেছেন শাসক দলের ছোট-বড় নেতারা। সেই ছবির সঙ্গে লেখা হয়েছে, ‘ঝড় হোক বা বন্যা/ রাত জাগেন অগ্নিকন্যা’। সেই সঙ্গেই ঝড়ের আগে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা কে কোথায় কী করেছেন, তারও বিস্তারিত জানানো শুরু হয়। সেই সঙ্গেই কটাক্ষ শুরু হয় আর জি করের ঘটনা নিয়ে গৃহীত একের পর এক নাগরিক কর্মসূচিগুলিকে। সমাজমাধ্যমে তৃণমূলের আইটি সেল-এর তরফে লেখা হয়, ‘চলে যাবে দানা, কেটে যাবে ভয়। মনে রেখো পাশে ছিল মমতা, কোনও দেড়শো গ্রাম নয়’!

Advertisement

রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখপাত্র ও সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের মতে, ‘‘আর জি কর আন্দোলন সম্পর্কে তৃণমূল কী ভাবে, তা এই প্রচারেই প্রমাণিত হচ্ছে। মুখে ‘আমরাও বিচার চাই’ বললেও তৃণমূল তা চাপা দিতে চায়। তাই রাত দখলের কর্মসূচিকেও এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ দিয়ে চাপা দিতে চেয়েছে।’’ সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কথায়, ‘‘উদ্ভট ভাষ্য ও প্রচারের আর কী জবাব হয়! নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছেন, দুর্যোগে নজর রেখেছেন। বরং, প্রশ্ন উঠতে পারে, নবান্নে রাতভর বসে না-থেকে মুখ্যমন্ত্রী বাড়িতে ঘুমোতে গেলে কি তাঁর নিজের হাতে থাকা স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে থাকা হাসপাতালে জল আরও বেশি জমতো? কিন্তু এ সবের সঙ্গে বিচারের দাবিতে রাত দখলের কর্মসূচির কী সম্পর্ক, তুলনাই বা কিসের!’’

প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামনে রেখে বিরোধীরাও শাসক দল ও সরকারের দিকে পাল্টা আঙুল তুলেছে। নদীবাঁধ নির্মাণ, বন্যাকালের আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি নিয়ে নানা অভিযোগ তুলেছে সিপিএম, বিজেপি ও কংগ্রেস। পাশাপাশি, ঝড়ের পূর্বাভাস সামনে আসার পর থেকে তারাও সমাজমাধ্যমে তুলতে শুরু করেছে ত্রাণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ। জবাবে তৃণমূলও পাল্টা সিপিএমকে বিঁধেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement