মুকুট মাথায় উদয়ন। নিজস্ব চিত্র
উদয়ন গুহের মাথায় উঠল রুপোর মুকুট। শনিবার তাঁর জন্মদিন ছিল। সেই উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে দিনহাটার তৃণমূল বিধায়কের মাথায় ৫০ ভরির রুপোর মুকুট পরিয়ে দেন দিনহাটা পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরীশঙ্কর মাহেশ্বরী। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়ও। প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈভব ছেড়ে সাধারণ জীবন যাপন করতে বলছেন, সেখানে এই ঘটনা কি তাঁর সেই নির্দেশের পরিপন্থী নয়? নানা বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য এর মধ্যেই দলে কিছুটা বিপাকে উদয়ন। রুপোর মুকুট তাঁর সমস্যা আরও বাড়াবে কি?
এর আগেও বারবার বিতর্ক তৈরি হয়েছে উদয়নকে ঘিরে। পুরভোটের প্রচারে তাঁর ‘দুয়ারে প্রহার’ মন্তব্য নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। উদয়নের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তুলে থানায় অভিযোগ জানায় বিজেপি। যদিও এ সবে তখন পাত্তা দেননি উদয়ন।
দিনহাটা পুরসভা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দখল নিয়ে তৃণমূলের অন্দরেই প্রশ্ন ওঠে। অনেকে দলের মধ্যে উদয়নের ভূমিকা নিয়ে সওয়াল করেন বলেও শোনা গিয়েছিল। যার পর প্রয়োজনে রাজনীতি থেকে বিদায় নেওয়ার বার্তাও দেন তিনি। সে সময় বলেছিলেন, ‘‘রাজ্য নেতাদের বলব, আমার কাজে যদি মনে হয় আমি কোনও দলবিরোধী কাজ করছি বা দল যদি বলে তুমি নিজেকে সংশোধন করো, তবেই তুমি দলে থাকবে তাহলে আমি নিজেকে সংশোধন করতে পারলে দলে থাকব।’’ অন্যথা তিনি রাজনীতি থেকে বিদায় নেবেন বলেও তিনি বার্তা দেন তখন। তিনি আরও বলেছিলেন, ‘‘অনেকেই বিবৃতি দিচ্ছেন আমার কাজ দল মান্যতা দেয় না। দল যদি মান্যতা না দেয় তাহলে আমাকে তিরস্কার করা হোক।’’ রুপোর মুকুট এই সব কিছুরই ‘পুরস্কার’ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছে।