শ্রীরামপুরের তৃণমূল কাউন্সিলর রমা নাথ।
ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল কাউন্সিলর রমা নাথ (৪৮)। সোমবার বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির শ্রীরামপুর স্টেশনে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, অনেক ক্ষণ ধরেই ওই স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে বসেছিলেন রমা নাথ। তিনি শ্রীরামপুর পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ওই এলাকায় শাসক দলের সক্রিয় নেত্রী হিসাবেই পরিচিত তিনি।
পুলিশ প্ল্যাটফর্মের দোকানদার এবং যাত্রীদের কাছ থেকে জানতে পেরেছে, এ দিন দুপুরে ডাউন শেওড়াফুলি লোকাল প্ল্যাটফর্মে ঢোকার মুখে বেঞ্চ থেকে উঠে দাঁড়ান তিনি। ট্রেনের প্রথম মহিলা কম্পার্টমেন্ট যেখানে এসে দাঁড়ায় সেখানে তিনি পৌঁছন। তারপর কেউ কিছু বোঝার আগেই ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দেন তিনি।ট্রেনের মোটর ম্যানও কোনও সুযোগ পাননি ট্রেন থামানোর। ট্রেনের চাকায় টুকরো টুকরো হয়ে যায় তাঁর দেহ।
এর পর ওই ছিন্ন দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। ঘটনার খবর পেয়েই সেখানেপৌঁছন পুরসভার বিভিন্ন কাউন্সিলর এবং শাসক দলের বিভিন্ন নেতানেত্রী।কেন তিনি এ রকম করলেন, তা নিয়ে এখনও ধন্ধে রেল পুলিশ।রমাদেবীর দলের কর্মীদের দাবি, রবিবারও তাঁকে স্বাভাবিক দেখেছেন তাঁরা। পারিবারিক কোনও অশান্তির খবরও জানেন না বলে দাবি স্থানীয়তৃণমূল কর্মীদের। তা হলে কেন আত্মহত্যা? রেল পুলিশের এক তদন্তকারী আধিকারিক বলেন,‘‘এখনও কোনও সুইসাইড নোট আমরা পাইনি। আমরা রমা নাথের বাড়িতেও তল্লাশি করব। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও এখনও কথা বলা যায়নি। তাঁদের সঙ্গে কথা বললে বোঝা যাবে কোনও পারিবারিক অশান্তি বা শারীরিক অসুস্থতা ছিল কি না?”
ঘটনার পেছনে রাজনীতির কোনও কারণ থাকার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি তদন্তকারীরা। তাঁর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, সম্প্রতি ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে একটি পুকুর ভরাটকে কেন্দ্র করে বিতর্কে জড়িয়েছিল রমার নাম।