প্রতীকী ছবি।
‘স্বচ্ছ’ ভোটার তালিকার দাবিতে সরব হলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। আর কেন্দ্রের শাসক দলের বিরুদ্ধে নালিশ জানালেন রাজ্যের শাসক দলের প্রতিনিধিরা। চুম্বকে উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সাক্ষাতের চিত্র।
মধ্য কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলে বৃহস্পতিবার বিকেল বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পৃথক পৃথক ভাবে কথা বলেন জৈন। কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি বিরুদ্ধে বাহুবলীকে ব্যবহার করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল সরকারকে কদর্য ভাষায় আক্রমণের প্রসঙ্গ জৈনের সামনে তুলে ধরেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই সূত্র ধরে তাঁর মতে, বিজেপির এই আচরণের ফলে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন অন্তরায় হবে।
কিন্তু অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে কমিশনকে সহায়তাই করতে চায় তৃণমূলের সরকার।
রাজ্য সরকারের সঙ্গে ‘দেনাপাওনা’র সম্পর্কে থাকা কর্মীদের দিয়ে ভোট করালে তা নিরপেক্ষ হবে না। তাই তাঁদের বাদ দিয়ে অন্য সরকারি কর্মীদের দিয়ে ভোট করানোর দাবি করেন বিজেপির ভারতী ঘোষ, শিশির বাজোরিয়ারা। একইসঙ্গে ভোটার তালিকায় মৃত ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া হয়নি। ফলে তালিকার ‘স্বচ্ছতা’ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বলে দাবি বিজেপির। এখন থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন এবং পর্যবেক্ষকদের আগেভাগে রাজ্যে পাঠানোর দাবিও জৈনের কাছে করেছেন রাজ্য বিজেপির নেতৃত্ব।
মৃত ভোটারদের নাম বাদ না যাওয়া, জনসংখ্যা বৃদ্ধির থেকে বেশি ভোটার বৃদ্ধি-সহ ‘গোলমেলে’ দিক বাদ দিয়ে ‘স্বচ্ছ’ ভোটার তালিকা প্রকাশের দাবি জৈনের কাছে করা হয়েছে বলে জানান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শমীক লাহিড়ী। একই দাবি করেছেন সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব। আর কংগ্রেসের তরফে ভোটারদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কমিশনের কাছে আবেদন জানান ঋজু ঘোষালের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল।