রঘুনাথপুর ২ ব্লকের মৌতোড় গ্রামের কালী মন্দিরে বিজেপি কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র
দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ করোনায় আক্রান্ত। তাঁর আরোগ্য কামনায় পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর ২ ব্লকের মৌতোড় গ্রামের কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন বিজেপি নেতারা। তৃণমূলের অভিযোগ, দূরত্ব-বিধি উড়িয়ে থিকথিকে ভিড় হয়েছিল সেখানে। বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আরোগ্য কামনায় আসা মানুষের ঢল কী ভাবে আটকানো সম্ভব?’’
সোমবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ বিজেপির পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তীকে নিয়ে মৌতোড় গ্রামের কালী মন্দিরে পৌঁছন রাজু। আগে থেকেই মন্দিরের সামনে ঠেসাঠেসি করে অপেক্ষায় ছিলেন দু’শোর বেশি বিজেপির কর্মী-সমর্থক। তৃণমূলের অভিযোগ, দূরত্ব-বিধি দূর-অস্ত, অনেকের ‘মাস্ক’ও ছিল না।
রঘুনাথপুর ২ ব্লকে করোনা-সংক্রমণ ক্রমশ বাড়ছে। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুসারে, সংক্রমণের নিরিখে পুরুলিয়ার মধ্যে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ওই ব্লক। রবিবার পর্যন্ত সেখানে ১৫ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। এই অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে মন্দিরে ভিড় নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল।
রঘুনাথপুর ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা তথা দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করোনা-আক্রান্ত। তার পরেও যে ভাবে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘন করা হল, তাতে তো মনে হয় না এলাকায় সংক্রমণ রোধে বিজেপির কোনও দায়বদ্ধতা আছে।”
রাজুবাবুর দাবি, ‘‘দূরত্ব-বিধি যাতে বজায় থাকে, সে চেষ্টা আমরা করেছি। কিন্তু মন্দিরে সাধারণ মানুষের ঢল নামায় তাঁদের আটকাতে আমরা অপারগ হয়েছি। আমাদের ব্যর্থতা মেনে নিচ্ছি।” তাঁর সংযোজন, ‘‘৫ অগস্ট, বুধবার অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভূমিপুজো। ওই দিন বাংলায় লকডাউন করে দেওয়া হচ্ছে। সেটা মানুষ মানবেন না। ওই দিন মানুষের কর্মসূচি হবে। আমরা পাশে থাকব।”
এসডিপিও (রঘুনাথপুর) দুর্বার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’