নিজের অবস্থানের অনড় থেকে শুভেন্দুর দাবি, ‘‘যা বলেছি ঠিকই বলেছি। ফাইল চিত্র।
সাগরদিঘির তৃণমূলপ্রার্থীকে এক সময় দল থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন মমতা। এ ভাবেই মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনের বিজেপিপ্রার্থী দিলীপ সাহার প্রচারে এসে তৃণমূল নেতৃত্বকে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুক্রবার সাগরদিঘিরই কুমুর্থীতে এক জনসভায় অংশ নেন তিনি। বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘‘এই সাগরদিঘি আসন থেকে তিন বার বিধায়ক হয়েছিলেন প্রয়াত সুব্রত সাহা। সেই তিন বারই সুব্রতবাবুকে হারাতে চেয়েছিলেন এই দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় আমি ছিলাম মুর্শিদাবাদের দায়িত্বে। ২০১৬ সালে আমাকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ওঁকে দল থেকে বের করে দাও। বলেছিলাম, আমি বার করতে পারব না। আপনি পারলে বার করে দিন। তার পরেই মমতা ওঁকে দল থেকে বের করে দেন।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটের সময় দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।’’
শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর দূর সম্পর্কের আত্মীয়। তিনি তাঁকেই এ বার তৃণমূল প্রার্থী করেছেন। আসলে মুখ্যমন্ত্রী পরিবারবাদ কায়েম করতে চাইছেন। আগে এই মুখ্যমন্ত্রী বলতেন আমার পরিবার নেই। কিন্তু এখন নির্বাচনে পরিবারের আত্মীয়েরাই টিকিট পায়।’’ বুধবার সাগরদিঘির প্রচারে এসে শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, নবগ্রামের বিধায়ক কানাই মণ্ডল তৃণমূলে যোগদানের জন্য ৫০ লক্ষ টাকা নগদ ও একটি গাড়ি উপহার নিয়েছিলেন। তাঁর এমন মন্তব্যের পাল্টা মানহানির মামলার হুমকি দিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক কানাই।
কিন্তু নিজের অবস্থানের অনড় থেকে শুভেন্দুর দাবি, ‘‘যা বলেছি ঠিকই বলেছি। কানাইবাবু অর্থ ও গাড়ির বিনিময়ে তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন।’’ তাঁর আরও দাবি, আরও ৭-৮ জন এমন তৃণমূল বিধায়ক রয়েছেন, যাঁদের কথা বললে গোটা তৃণমূল অস্বস্তিতে পড়ে যাবে।