—ফাইল চিত্র
শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে যাওয়ার পর রবিবার প্রথম জনসভা করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারে দুপুর দুটোয় ওই সভা। বিজেপি-তে যাওয়ার পর নাম না করে একাধিক বার তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের দিকে হুঙ্কার ছুড়েছেন শুভেন্দু। নিজের কেন্দ্র থেকে তার কী জবাব দেন অভিষেক, সে দিকেই তাকিয়ে সকলে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩১টি বিধানসভাই তৃণমূলের দখলে। এ বার নিজের গড় ডায়মন্ড হারবারে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু এবং বিজেপিকে ঠিক কী জবাব দেন অভিষেক তার অপেক্ষায় দলের নেতা কর্মীরা। সভার আগে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের ব্লক ও বুথ স্তরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে মিটিং, মিছিল ও প্রচার চালানো হচ্ছে। ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে তোরণ। রাস্তার পাশে লাগানো হচ্ছে বড় কাট আউট ও পোস্টার। ডায়মন্ড হারবার, ফলতা, বিষ্ণুপুর, সাতগাছিয়া, মহেশতলা, বজবজ ও মেটিয়াব্রুজ— এই ৭টি বিধানসভা কেন্দ্র ছাড়াও জেলার অন্যান্য জায়গা থেকেও দলের কর্মী সমর্থকদের হাজির করতে চাইছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।
সম্প্রতি নিজের দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের বিধায়ক দীপক হালদার। তাঁকে তৃণমূলের কোনও অনুষ্ঠানে ডাকা হয় না বলেও অভিযোগ করেন। ফলে এই সভায় দীপকের উপস্থিতি নিয়েও জোর জল্পনা চলছে দলের অন্দরে। সভা ঘিরে নিরাপত্তার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা নিচ্ছে জেলার পুলিশ প্রশাসন।
আরও পড়ুন: নজরুল ইসলামকে মারধরের ঘটনায় তৃণমূল কাউন্সিলর বহিষ্কার
আরও পড়ুন: অসুস্থ নির্মলা মিশ্র, অবস্থা স্থিতিশীল, আগামিকাল হবে গায়িকার কোভিড পরীক্ষা
দলীয় সূত্রে খবর, সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় নেতৃত্ব থেকে কর্মী সমর্থকদের উদ্দেশে বেশ কিছু বার্তা দেবেন। যার সমস্তটাই উন্নয়নভিত্তিক। দলীয় কর্মী সমর্থকদের সামনে তুলে ধরতে পারেন তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের পরিসংখ্যান। এছাড়া বিভিন্ন উন্নয়ন নিয়ে। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্প থেকে কত সংখ্যক সাধারণ মানুষ কতটা সুফল পেয়েছেন সে তথ্যও জানাতে পারেন তিনি।
ডায়মন্ড হারবার ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি গৌতম অধিকারী বলেন, ‘‘বহিরাগতরা এসে বাংলায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলার মানুষ সাম্প্রতিক শক্তিকে হটিয়ে দেবে। আশা করি অভিষেক সভামঞ্চ থেকেই বিরোধীদের কুৎসার জবাব দেবেন।’’
তবে অভিষেকের সভাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। বিজেপির ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি সুফল ঘাটু বলেন, ‘‘সভা করে কোনও লাভ হবে না। বাংলার মানুষ সব দেখছেন। দাদাগিরি আর গুন্ডামি মানুষ মেনে নেবে না। সভা করো আর যাই করো আসছে ভোটে তৃণমূলের ভরাডুবি নিশ্চিত।’’