West Bengal Panchayat Election 2023

দিনহাটায় ভোটগণনার আগে স্ট্রংরুমে হাজির তৃণমূল-বিজেপি! কারচুপির অভিযোগে তীব্র গন্ডগোল

পুনর্নির্বাচনের ব্যালট বাক্স সেখানে নিয়ে যাওয়ার সময় দুই রাজনৈতিক দলের নেতারা ডিসিআরসিতে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ। এর পর প্রথমে বচসা এবং তার পর শুরু হয় সংঘর্ষ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

দিনহাটা শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০২৩ ২২:১১
Share:

ডিসিআরসির সামনে মন্ত্রী উদয়ন গুহদের সঙ্গে বিজেপির গন্ডগোল। —নিজস্ব চিত্র।

পঞ্চায়েত ভোটের গণনার আগের দিনও তীব্র উত্তেজনা কোচবিহারের দিনহাটায়। সোমবার রাতে ডিসিআরসির ভিতরেই তৃণমূল এবং বিজেপির বচসা শুরু হয়। সেখানে বিজেপি নেতার গাড়িতে ইটবৃষ্টি শুরু হয়।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ দিনহাটা হাই স্কুলের সামনে এই গন্ডগোলের সূত্রপাত হয়। ওই স্কুলেই করা হয়েছে ডিসিআরসি সেন্টার। পুনর্নির্বাচনের ব্যালট বাক্স সেখানে নিয়ে যাওয়ার সময় দুই রাজনৈতিক দলের নেতারা ডিসিআরসিতে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ। এর পর প্রথমে বচসা এবং তার পর শুরু হয় সংঘর্ষ। ঘটনাস্থলে ছিলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ এবং বিজেপি নেতা অজয় রায়। তাঁদের অনুগামীদের মধ্যে মারামারি শুরু হলে কেন্দ্রীয় বাহিনী সবাইকে বাইরে বার করে দেয়। এর পর হাই স্কুল প্রাঙ্গণেও সংঘর্ষ হয়।

উল্লেখ্য, পুনর্নির্বাচনের পর নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ব্যালট বাক্স ডিআরসির ভিতরে পৌঁছে যাওয়ার কথা। বিজেপির অভিযোগ, রাত সাড়ে ৮টার পর স্ট্রং‌রুম খোলা হয়। এ কথা জানতে পেরে তারা প্রতিবাদ করে। অন্য দিকে, তৃণমূলের অভিযোগ, দিনহাটা শহরের মণ্ডল সভাপতি অজয় রায় স্ট্রংরুমের ভিতরে চলে গিয়েছিলেন। খবর পেয়ে সেখানে চলে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন। তিনি গিয়ে অজয়কে দেখেন। এর পরই বচসার শুরু হয়।

Advertisement

প্রথমে কথা কাটাকাটি হলেও কিছু ক্ষণের মধ্যে তৃণমূল-বিজেপির হাতাহাতি শুরু হয়। বিজেপি নেতা অজয়ের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। তাঁর গাড়ির কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিজেপি নেতা কোনও ক্রমে সেখান থেকে চলে যান। তাঁর দাবি, তিনি স্ট্রংরুমের ভিতরে যাননি। যে জায়গায় দাঁড়ানো যায়, সেখান থেকেই স্ট্রংরুম খোলা রয়েছে বলে দেখেন। কারচুপির অভিযোগ করতেই তৃণমূল তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছে। অন্য দিকে, উদয়নদের অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে স্ট্রংরুমে গিয়েছিলেন। ভোট কারচুপির উদ্দেশ্য ছিল বিজেপির। বেশ কিছু ক্ষণ ধরে এই গন্ডগোল চলার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement