—প্রতীকী চিত্র।
বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটের বলি হলেন আরও এক জন। এ বার ঘটনাস্থল পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম। মৃতের নাম পুলক সরকার (৫৬)। সিপিএমের দাবি, মৃত পুলক তাঁদের সদস্য ছিলেন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলায় খুন হয়েছেন তিনি। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে শাসকদল। তারা দাবি করেছে, পুলক তাঁদের কর্মী ছিলেন। ইতিমধ্যে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। গ্রেফতারও হয়েছে তিন জন।
কেতুগ্রাম-২ নম্বর ব্লকের উত্তর দাসপাড়ার বাসিন্দা ছিলেন পুলক। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য অপূর্ব চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘গত শনিবার (ভোটের দিন) উত্তর দাসপাড়ার বুথ ক্যাম্পে হামলা হয়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চড়াও হয় আমাদের ক্যাম্পে। হামলায় গুরুতর জখম হন পুলক সরকার। তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে সোমবার বিকেল ৫টার সময় তাঁর মৃত্যু হয়।’’ অপূর্ব জানান, মৃত পুলক রেলের ঠিকাদারের অধীনে শ্রমিকের কাজ করতেন শিলিগুড়িতে। ভোটের জন্য দিন কয়েক আগে তিনি বাড়ি ফিরেছিলেন।
সিপিএমের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় দাবি, ‘‘মৃত পুলক সরকার আসলে আমাদের দলের সমর্থক। সিপিএম ছাপ্পা দিতে গেলে তৃণমূল বাধা দেয়। তাতে দু’পক্ষের মধ্যে ঝামেলা হয়। সেই ঝামেলায় গুরুতর জখম হন পুলক সরকার।’’
অন্য দিকে, পরিবারের দাবি, পুলক কোনও দল করতেন না। বছর দশেক আগে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। শনিবার দুই রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে পুলকের।
বস্তুত, পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব থেকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা উত্তপ্ত। রাজনৈতিক সংঘর্ষে এ পর্যন্ত ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুধু ভোটের দিন, শনিবার রাজনৈতিক হামলায় মারা গিয়েছেন ১৯ জন। পূর্ব বর্ধমানে ভোটের দিনই এক সিপিএম কর্মী এবং এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। পুলকের মৃত্যুর পর পূর্ব বর্ধমানে পঞ্চায়েত ভোটের আবহে প্রাণ গেল মোট তিন জনের।