ছবি: সংগৃহীত।
রামমন্দিরে পুজো দিয়ে বিজেপির হাতে থাকা খড়্গপুরের ( সদর) ভোটযুদ্ধে নামলেন তৃণমূল প্রার্থী প্রদীপ সরকার। গলায় গেরুয়া উত্তরীয় ঝুলিয়ে সোমবার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন তিনি। এদিনই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন করিমপুরের তৃণমূল প্রার্থী বিমলেন্দু সিংহ রায় এবং খড়্গপুর ও কলিয়াগঞ্জের বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী চিত্তরঞ্জন মন্ডল এবং ধীতশ্রী রায়।
বিধানসভা তো বটেই, গত লোকসভা ভোটেও তাদের হাতে থাকা করিমপুরে দলীয় প্রার্থীর মনোনয়নে এদিন বড় জমায়েত করেছে তৃণমূল। নিজের ছেড়ে যাওয়া কেন্দ্রে মনোনয়নে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র ছাড়াও ছিলেন জেলা দলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শঙ্কর সিংহ। হাতে থাকা আসনে জনসমর্থনের প্রমাণ দিতে জমায়েতে জোর দিয়েছিল তৃণমূল।
অন্যদিকে বিজেপির হাতে থাকা খড়্গপুরে জেলা দলের সব নেতাকে হাজির করে ঐক্যের বার্তা দিতে চেয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। খড়্গপুরে (সদর) দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন মিছিলে অংশ নেন দলের জেলা পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ মানস ভুঁইয়া, মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি, বিধায়ক দীনেন রায় প্রমুখ। খড়্গপুরের কংগ্রেস প্রার্থী চিত্তরঞ্জনের মনোনয়নে ছিলেন জোট শরিক বাম-কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা।
বিজেপি-র খাসতালুক খড়্গপুরে গতবার রামনবমীর অনুষ্ঠানেও শহরের তৃণমূল পুরপ্রধান প্রদীপের মাথায় গেরুয়া পাগড়ি দেখা গিয়েছিল। এ বারও ছটপুজোর মঞ্চে গেরুয়া উত্তরীয়তে দেখা গিয়েছে প্রদীপকে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, “তৃণমূল বুঝেছে খড়্গপুরের মানুষ গেরুয়া পছন্দ করে। তাই ওরাও গেরুয়া নির্ভর হয়ে পড়ছে। কিন্তু রত্নাকর দস্যু যদি বাল্মিকী হতে চায় মানুষ বুঝে যাবে। এর সুফল ওরা পাবে না।” পাল্টা শুভেন্দু বলছেন, “শহরে বিজেপি বাঁচাও কমিটি হয়েছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে আমার পরামর্শ, উনি আগে প্রদীপ পট্টনায়েককে সামলান। তাই নিজের ঘরটা আগে ঠিক করুন।”
এদিকে নিজেদের হাতে থাকা খড়্গপুরে এবার প্রার্থী নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়েছে বিজেপিতে। দলের প্রার্থী হিসেবে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের এক ঘনিষ্ঠের নাম ঘোষণা করা হলেও তাঁর ‘দেখা’ পাওয়া যাচ্ছে না বলে খবর।