(বাঁ দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
আগামী ২৯ নভেম্বর কলকাতার ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে প্রকাশ্য জনসভা করতে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ঠিক তার এক দিন আগে বিধানসভায় সংবিধান দিবসের আলোচনাকে কেন্দ্র করে দ্বৈরথ হতে চলেছে বিজেপি বনাম তৃণমূল বিধায়কদের। সম্প্রতি বিধানসভার কার্যবিবরণীর বৈঠকে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সংবিধান দিবস নিয়ে আলোচনার জন্য একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে তৃণমূল পরিষদীয় দল। সেই প্রস্তাবের উপর আলোচনা হবে ২৮ নভেম্বর। সেই আলোচনায় কেন্দ্রীয় সরকারের সংবিধান বিরোধী কার্যকলাপগুলি তুলে ধরে আক্রমণ শানাবেন তৃণমূল বিধায়করা। কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর কী ভাবে একের পর এক সংবিধান-বিরোধী কার্যকলাপ চলেছে তা-ও তুলে ধরা হবে। এই বিষয়ে বক্তৃতা করতে তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের দফতর থেকে বেশ কয়েক জন বিধায়ককে তৈরি থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রবিবার সংবিধান দিবস। তাই সেই দিনটিকে মাথায় রেখেই এই আলোচনা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
আর প্রস্তাব জমা পড়ার খবর বিজেপি পরিষদীয় দলের কানে পৌঁছতেই তারাও নিজেদের মতো করে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। যদিও নিজেদের রণকৌশল প্রসঙ্গে প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ বিজেপি পরিষদীয় দল। তাদের মুখ্য সচেতক মনোজ টিগ্গা জানিয়েছেন, পরিষদীয় দলে আলোচনা করে এ বিষয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত হবে। অন্য দিকে, ২৮ তারিখ মঙ্গলবার অধিবেশন শুরুর আগে বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাই মনে করা হচ্ছে ওই দিনই সংবিধান দিবস নিয়ে আলোচনায় কী ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে পাল্টা সমালোচনার মুখে ফেলা যায়, সেই বিষয়ে বিধায়কদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবেন নন্দীগ্রাম বিধায়ক। বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, এই আলোচনায় বিরোধী দলনেতা ছাড়াও অংশ নিতে পারেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ এবং আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল প্রমুখ।
এমনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আগমনের খবরে চাঙ্গা বঙ্গ বিজেপি। আর ঠিক তার এক দিন আগে বিধানসভাতে শাহের আগমনের প্রতিফলন দেখাতে চায় বিজেপি বিধায়কেরা। তাই বিজেপি বিধায়কেরা ঠিক করেছেন, যে ভাষায় তৃণমূল বিধায়কেরা কেন্দ্রে সরকারকে আক্রমণ করবেন, সেই ভাষাতেই তাঁরাও পাল্টা রাজ্য সরকারকে জবাব দেবেন। দু’ঘণ্টার এই আলোচনাচক্রে সমানে সমানে লড়াই দিতে চান তারা। তাই শীতের শুরুতে সংবিধান দিবস নিয়ে আলোচনাকে ঘিরে সরগরম হতে চলেছে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন।