জখম সোনালি বিবি (ডান দিকে)। বুধবার। ছবি: নির্মল বসু
মারধরের জেরে গর্ভস্থ ভ্রূণ নষ্ট হওয়ার অভিযোগ তুললেন বিজেপি সমর্থক পরিবারের এক মহিলা। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে।
মঙ্গলবার রাতে হাসনাবাদ থানার বরুণহাটের ট্যাংরা গ্রামের ঘটনা। জখম সোনালি বিবিকে প্রথমে টাকি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পাঠানো হয় বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। হাসপাতালের সুপার শ্যামল হালদার বলেন, ‘‘মহিলার গর্ভের ভ্রূণ নষ্ট হয়েছে বলে টাকি হাসপাতাল থেকে জানানো হয়েছিল। বুধবার মহিলাকে আমাদের হাসপাতালে আনা হয়।’’
সোনালির স্বামী সাদ্দাম গাজির লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। মারধরের ফলেই গর্ভস্থ ভ্রূণ নষ্ট হয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি দুলাল রায় বলেন, ‘‘দলের সভায় যোগ দেওয়ার অপরাধে সাদ্দামকে মারধর করা হয়। বাধা দিতে গেলে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মারে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। গর্ভস্থ ভ্রূণ নষ্ট হয়েছে।’’ তৃণমূল নেতা ফিরোজ কামাল গাজি বলেন, ‘‘শুনেছি আমাদের দলীয় কর্মীদের গালিগালাজ করার জন্য দু’পক্ষের মধ্যে বচসা হয়। তবে কেউ এমন ঘটনা ঘটালে তা নিন্দনীয়।’’ তৃণমূল নেতা আব্দুল রহিমের দাবি, সাদ্দামের সঙ্গে বচসা, গোলমাল হলেও তাঁর স্ত্রীকে কেউ মারধর করেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাদ্দামের সঙ্গে তৃণমূলের কিছু লোকের ঝামেলা বেধেছিল। অভিযোগ, সাদ্দাম শাসক দলের নামে কুৎসা করছিলেন। স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় ঝামেলা মেটে। রাতে চকপাটলি এলাকায় বিজেপির একটি কর্মিসভায় যোগ দেন সাদ্দাম। তাঁর কথায়, ‘‘কেন সভায় গিয়েছি, সে প্রশ্ন তুলে তৃণমূলের কয়েক জন লাঠি-রড নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়। মা-বোনকেও মেরেছে ওরা। মারধরের জেরেই আমার সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগে মারা গেল।’’ সোনালির কথায়, ‘‘রাত ১০টায় তৃণমূলের কয়েক জন স্বামীকে মারধর শুরু করে। বাধা দিলে আমার পেটে লাথি মারে।’’