তৃণমূলের অভিযোগ, সংসদকে ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গকে রাজনৈতিক নিশানা করছেন নরেন্দ্র মোদী সরকার। আজ রাজধানীতে তা নিয়ে সরব হলেন তৃণমূলের সাংসদেরা। সকালে লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বের শেষে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন দলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে তিনি লোকসভার স্পিকারকে এই মর্মে চিঠিও দিয়েছেন। তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনও চিঠি দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে।
আজ লোকসভায় সুদীপবাবু বলেন, ‘‘সাধারণ ভাবে অধিবেশন কক্ষে যে প্রশ্নগুলি তুলতে দেওয়া হয় না, সেগুলির খুব সামান্য পরিবর্তন করে দিনের পর দিন তোলা হচ্ছে। দশ দিনে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারকে ১০টি অ্যাডভাইসারি দেওয়া হয়েছে। সংসদীয় গণতন্ত্রের ওপর এটা আঘাত।’’ এর পরে বিজেপি বেঞ্চে সামান্য চাঞ্চল্য শুরু হয়। সুদীপবাবু তা উপেক্ষা করে বলে যেতে থাকেন, ‘‘কেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে বার বার নিশানা করা হবে? আমরা এটা বরদাস্ত করব না। তীব্র বিরোধিতা করে জানাচ্ছি, এই ধরনের কাজ বন্ধ হোক।’’
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডেরেক ও’ব্রায়েন দু’জনেরই প্রতিবাদপত্রের বয়ান মূলত এক। লোকসভার স্পিকার এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে তাঁরা জানিয়েছেন, ‘২০১৯-এর লোকসভা ভোট চলাকালীন পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে রাজ্যসভায় ৪টি এবং লোকসভায় ৩টি প্রশ্ন করতে দেওয়া হয়েছে। সাধারণত সংসদে কখনও একই প্রশ্ন বার বার করতে দেওয়া হয় না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বার বার একই প্রশ্ন করা হয়েছে।’
বিষয়টি নিয়ে গত সপ্তাহ থেকেই চলছে তরজা। কাটমানি এবং রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি-তৃণমূলের চাপান-উতোরে, খোদ স্পিকার ওম বিড়লাকে বলতে হয়েছে সংসদীয় অধিবেশনকে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা করে ফেলবেন না। এর পরে লোকসভায় এক বিজেপি সাংসদের প্রশ্নের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি রিপোর্টও চেয়ে পাঠায় রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে। এর পরে সংসদের দু’কক্ষেই বিরোধিতায় সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক দল।