Tigress Zeenat

বাঘিনি জ়িনত কেমন আছে আলিপুরে? বর্ষবিদায়ের মধ্যাহ্নভোজে তার পাতে পড়ল তিন রকমের মাংস

বাঁকুড়ার জঙ্গলে ধরা পড়ার পর রবিবার রাতে জ়িনতকে আনা হয়েছিল আলিপুর চিড়িয়াখানার হাসপাতালে। সোমবার দিনভর তাকে ওআরএস দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার তাকে সাধারণ খাবার দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৭:১৭
Share:

খাঁচায় খোশ মেজাজেই রয়েছে বাঘিনি জ়িনত। ছবি: ফেসবুক।

আলিপুর চিড়িয়াখানার হাসপাতালে ভাল আছে বাঘিনি জ়িনত। চিড়িয়াখানা সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বর্ষবরণের দুপুরে বাঘিনিকে খেতে দেওয়া হয়েছিল তিন রকমের মাংস। মেনুতে ছিল মুরগি, ছাগল এবং মহিষের মাংস। তবে জ়িনত কোন মাংস কতটা পরিমাণ খেয়েছে, তার পর সে কেমন থাকছে, সেই সংক্রান্ত রিপোর্ট মিলবে সন্ধ্যার পরে।

Advertisement

বাঁকুড়ার জঙ্গলে ধরা পড়ার পর রবিবার রাতে জ়িনতকে আনা হয়েছিল আলিপুর চিড়িয়াখানার হাসপাতালে। সোমবার দিনভর তাকে ওআরএস দেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার তাকে সাধারণ খাবার দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিন রকম মাংস কেন? চিড়িয়াখানার হাসপাতালের এক কর্তার কথায়, ‘‘বনের শিকারি বাঘের মুখে কী রুচবে তা বোঝা মুশকিল। তাই ছাগল এবং মহিষের মাংসও দেওয়া হয়েছে।’’ সোমবার রাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সমাজমাধ্যমে বাঘিনির একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন। সেখানেও দেখা গিয়েছিল খাঁচায় খোশ মেজাজেই রয়েছে সে।

গত ন’দিন ধরে বনকর্মীদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলেছে জ়িনত। দাপিয়ে বেড়িয়েছে বাংলার তিন জেলা। তাকে ধরতে কার্যত নাকানিচোবানি খেতে হয় বনকর্মীদের। অবশেষে রবিবার দুপুর ৩টে ৫৮ মিনিট নাগাদ বাঁকুড়ার গোঁসাইডিহির জঙ্গলে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু হয় ওড়িশার বাঘিনি। তার পর তাকে খাঁচাবন্দি করেন বনকর্মীরা।

Advertisement

মহারাষ্ট্রের তাডোবা-আন্ধারি ব্যাঘ্র সংরক্ষণে জন্ম জ়িনতের। তার পর সেখান থেকেই তাকে পাঠানো হয় ওড়িশার সিমলিপালে। সেখানকারই বাসিন্দা সে। কিন্তু দিন কয়েক আগে ঝাড়খণ্ডের কুলিয়া রেঞ্জের রাজাবাসার জঙ্গল পেরিয়ে চিয়াবান্ধি এলাকা হয়ে ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি থানার কাটচুয়া জঙ্গলে প্রবেশ করেছিল বাঘিনি। তার পর দু’দিন ধরে কখনও ময়ূরঝর্নার জঙ্গলে, আবার কখনও কাকড়াঝোড়ের জঙ্গলে নিজের ঠিকানা বদল করছিল। পরে তেলিঘানার জঙ্গল হয়ে জ়িনত প্রবেশ করে পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ান থানা এলাকার রাইকা পাহাড়ে।

রাইকা পাহাড় ও পার্শ্ববর্তী ভাঁড়ারি পাহাড়ে দিন চারেক কাটিয়ে মানবাজারের ডাঙ্গরডিহির জঙ্গলে হাজির হয় সে। সেখান থেকেই শুক্রবার ভোরের দিকে জ়িনত কুমারী নদী পেরিয়ে ঢুকে পড়ে বাঁকুড়ার রানিবাঁধ ব্লকের গোঁসাইডিহির জঙ্গলে। রবিবার সেই জঙ্গল থেকেই ধরা হয় জ়িনতকে। বাঘিনিকে ওড়িশার সিমলিপাল থেকে আনা বিশেষ খাঁচায় বন্দি করে ফেলে বন দফতর। বিষ্ণুপুর বন বিভাগের দফতরে নিয়ে গিয়ে বাঘিনির একদফা শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়। বাঘিনিকে ফের ওড়িশায় ফেরত পাঠানো হবে। তার জন্য দুই রাজ্যের সরকারের মধ্যে প্রক্রিয়া চলছে। তবে তা কবে, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement