West Bengal Weather Update

তীব্র দাবদাহে স্বস্তির হাওয়া! আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রাজ্যের এই জেলায়

রাত সওয়া ১০টার বিজ্ঞপ্তিতে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হুগলি জেলার কিছু অংশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:০৯
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

তীব্র গরমে নাজেহাল দশা রাজ্যবাসীর। মঙ্গলবার রাজ্যের ১৪টি জেলার তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার গণ্ডি। এর মধ্যে আশার বাণী শোনাল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তারা জানিয়েছে, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে হুগলি জেলায়।

Advertisement

রাত সওয়া ১০টার বিজ্ঞপ্তিতে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে হুগলি জেলার কিছু অংশে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। সঙ্গে বজ্রবিদ্যুতেরও সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

হুগলি ছাড়া রাজ্যের আর কোনও জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানায়নি আলিপুর আবহাওয়া দফতর। গত কয়েক দিন ধরেই তীব্র দাবদাহ চলছে রাজ্য জুড়ে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী তিন দিনে দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা ২-৩ ডিগ্রি বাড়তে পারে। সঙ্গে বজায় থাকবে অস্বস্তি। গরমের দাপট যেমন বাড়বে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতিও তৈরি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের বেশির ভাগ জেলাতে। মঙ্গলবার রাজ্যের ১৪টি জায়গায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়িয়েছিল তাপমাত্রা। সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড গড়েছে পানাগড়। সেখানে দুপুরের তাপমাত্রা ছিল ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ ডিগ্রি বেশি। কলকাতা, সল্টলেক এবং দমদমে দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি ছাড়িয়েছে। মগরা এবং মেদিনীপুরে তাপমাত্রা ছিল যথাক্রমে ৪০ এবং ৪১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পিছিয়ে নেই বাঁকুড়াও। সেখানে মঙ্গলবার দিনের তাপমাত্রা ছিল ৪১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলাইকুণ্ডায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আসানসোলে দিনের তাপমাত্রা ৪১, সিউড়িতে ৪১, পুরুলিয়ায় ৪০.৩, বর্ধমানে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গরমে রাস্তায় বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকেই। বেলা বাড়তেই রাস্তা প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়ে। যানবাহনও কমে যায়। ফলে স্কুল, কলেজ, অফিসে যাতায়াত করার সময় সমস্যায় পড়েছেন বহু মানুষ। এই পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকার জন্য প্রচুর জলপানের পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যবিদেরা। সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত প্রয়োজন না পড়লে বাড়ির বাইরে বেরোতেও বারণ করেছেন তাঁরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement