জিমা এবং তার তিন শাবক। নিজস্ব চিত্র।
দার্জিলিংয়ের পদ্মজা নায়ডু জুলজিক্যাল পার্ক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে জন্ম নিয়েছে ৩ তুষায়চিতা (স্নো লেপার্ড) শাবক। আপাতত চিড়িয়াখানা থেকে কিছুটা দূরে টোবগে দারা এলাকায় জাল দিয়ে ঘেরা প্রাকৃতিক পরিবেশে তাদের রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল বিনোদকুমার যাদব এ কথা জানিয়েছেন।
বিনোদকুমার বলেন, ‘‘পদ্মজা নায়ডু জুলজিক্যাল পার্কের তুষারচিতা জিমা সোমবার ৩টি শাবকের জন্ম দেয়। মা এবং শিশুরা পুরোপুরি সুস্থ রয়েছে। তবে চিড়িয়াখানার কর্মীরা সর্বক্ষণ দূর থেকে সতর্ক ভাবে তাদের উপর নজর রাখছেন।’’ শিশুগুলির বাবা নামকা দার্জিলিং চিড়িয়াখানার ‘বাসিন্দা’। প্রধান মুখ্য বনপাল জানান, ৩ শিশুর জন্মের ফলে সেখানে তুষারচিতার সংখ্যা দাঁড়াল ১২।
সত্তরের দশকের শেষপর্বে পদ্মজা নায়ডু জুলজিক্যাল পার্কে তুষারচিতার প্রজনন প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। কয়েক বছর পরেই সাফল্য মেলে। আইইউসিএন-এর লাল তালিকায় ‘বিপন্ন’ প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত। বিশ্বে এদের আনুমানিক সংখ্যা ১০ হাজারেরও কম। মূলত চিন, মঙ্গোলিয়া এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির বরফ ঢাকা পাহাড়ে তুষারচিতার দেখা মেলে।
চিড়িয়াখানায় জন্ম নেওয়া তিন শাবককে পরবর্তীকালে মুক্ত প্রাকৃতিক পরিবেশে ফিরিয়ে দেওয়ায় পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিনোদকুমার। প্রসঙ্গত, তুষারচিতার পাশাপাশি আর এক বিপন্ন প্রজাতির বন্যপাণী লাল পান্ডার প্রজননেও সাফল্য পেয়েছেন দার্জিলিং চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। বেশ কয়েকটি লাল পান্ডাকে পরবর্তীকালে বন্য পরিবেশে সফল ভাবে ফোরানোও গিয়েছে।