সংক্রমণ রুখতে তিনটি বাজার আপাতত বন্ধ রাখা হবে দু’দিন।—ফাইল চিত্র।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও, হুঁশ ফিরছে না অনেকের। মুখে মাস্ক নেই। ভিড়ের মধ্যেই বাজারে চলছে কেনাকাটা। প্রশাসনিক স্তর থেকে বার বার সচেতন করার পরেও উদাসীন বহু মানুষ। সে কারণেই এ বার কলকাতার তিনটি বাজার দু’দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল পুরসভা।
আপাতত পুরসভার তিন নম্বর বরোর বাজারে পরীক্ষামূলক ভাবে লকডাউন করে সংক্রমণ কমানো যায় কি না, তা দেখতে চান স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা। শুধু তাই নয়, ওই এলাকার অন্য বাজারগুলিতে কেনাকাটার সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হল। তিন নম্বর বরোর মধ্যে কলকাতার কন্টেনমেন্ট জোনের বহু এলাকা পড়ছে। করোনা সংক্রমণ রুখতে তাই কঠোর হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে চায় পুলিশ, পুরসভা এবং স্বাস্থ্য বিভাগ। বৃহস্পতিবার ৩ নম্বর বরোর কোঅর্ডিনেটর অনিন্দ্যকিশোর রাউতের নেতৃত্বে এলাকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে বসেন থানাগুলোর ওসি এবং স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা।
ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী শনি এবং রবিবার মুচিবাজার, কাদাপাড়া মার্কেট এবং জোড়া মন্দির বাজার বন্ধ রাখা হবে। ওই এলাকার বাকি বাজারগুলি সকাল ৭টা থেকে ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এ প্রসঙ্গে অনিন্দ্যকিশোর বৃহস্পতিবার বলেন, “আমাদের কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা আগে অনেক বেশি ছিল। কিন্তু এখন তা কমে গিয়েছে। তিনটি বাজার দু’দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাকি বাজারগুলির জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় সাড়ে ৩২ হাজার! দেশে মোট আক্রান্ত ন’লক্ষ ৬৮ হাজার
আরও পড়ুন: এখন বিজেপির কাছ থেকেও আমরা গণতন্ত্র শিখব?
স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা মনে করছেন, বাজার থেকেই সব থেকে বেশি সংক্রমিত হচ্ছেন মানুষজন। ফলে বাজারে দূরত্ববিধি মেনে কেনাকাটা জরুরি। কিন্তু অনেকেই তা মানছেন না। অনেকেরই মুখে মাস্ক নেই। ভিড়ের মধ্যেই কেনাকাটা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। ফলে প্রাথমিক ভাবে ৩টি বাজার দু’দিন বন্ধ রেখে সংক্রমণের হার কমে কি না, তা দেখা হবে। পুরসভা সূত্রে খবর, যদি এতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে দেখা যায়, তা হলে কলকাতার অন্যত্রও এমন বন্দোবস্ত করা হতে পারে।
কলকাতায় ইতিমধ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে। মৃতের সংখ্যাও পাঁচশো পেরিয়েছে। যদিও কলকাতায় কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমে এখন ২৪ হয়েছে। ওই এলাকায় কড়া নজরদারির রয়েছে পুলিশের।