বিশ্বজিৎ বিশ্বাস
কাঁকিনাড়া স্টেশনে শুক্রবার রাতে যুবক খুনের ঘটনায় রেল পুলিশ গ্রেফতার করল স্থানীয় তিন যুবককে। তাদের মধ্যে বোমায় এক জনের হাত উড়েছে। আপাতত সে এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা হল ফায়জ়ল খান (রাজু), ইব্রাহিম খান (বাঙালি) এবং শাহবাজ আলম। বোমার আঘাতে শাহবাজের ডান হাত উড়ে গিয়েছে। আদালত রাজু এবং বাঙালিকে ৮ দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে।
নদিয়ার ভীমপুরের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ বিশ্বাস কর্মসূত্রে বিহারে থাকতেন। তাঁর দাদা সত্যজিৎ বিশ্বাস বৃহস্পতিবার ভীমপুরের বাড়িতে আত্মঘাতী হন। খবর পেয়ে বিহার থেকে বন্ধু কেশব প্রসাদকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বিশ্বজিৎ। নৈহাটি স্টেশনে নেমে তাঁদের কৃষ্ণনগর লোকাল ধরার কথা ছিল। ট্রেনে ঘুমিয়ে পড়ায় তাঁরা শুক্রবার রাত আড়াইটে নাগাদ পরের স্টেশন কাঁকিনাড়ায় নামেন। সেখানেই তিন দুষ্কৃতীর খপ্পরে পড়েন। বিশ্বজিতদের টাকা, মোবাইল ছিনতাইয়ের চেষ্টা করে। বাধা দিতে গেলে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। তারই মধ্যে বোমা ফেটে মৃত্যু হয় বিশ্বজিতের। পুলিশ জানিয়েছে, ওই বোমায় ডান হাত উড়ে যায় শাহবাজের। অন্যরা তাকে নিয়ে বাড়িতে যায়। বাড়ির লোকেরা তাকে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার স্টেশন চত্বরের
আশপাশের লোকজন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে নৈহাটি জিআরপি থানার পুলিশ। একই সঙ্গে তদন্তে নামে ভাটপাড়া থানাও। পুলিশ তখনই শাহবাজদের নাম জানতে পারে। ভাটপাড়া এবং জগদ্দল থানার পুলিশ জানায়, এর আগে একাধিক ঘটনায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করেছিল।