প্রতীকী ছবি।
কিশোরীকে পরিত্যক্ত বাড়িতে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে। শনিবার রাতে মেয়েটি উদ্ধার হওয়ার পরে অভিযুক্ত তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, ধৃতদের বিরুদ্ধে ‘পকসো’ আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর পনেরোর মেয়েটির বাড়িতে শনিবার সন্ধ্যায় কেউ ছিলেন না। রাত ৮টা নাগাদ অন্য দিনের মতোই সে বাড়ির সামনে ঘোরাঘুরি করছিল। ওই এলাকায় জনবসতি কম। শীতের রাতে রাস্তাতেও বিশেষ লোকজন ছিলেন না। অভিযোগ, সেই সময়েই তিন যুবক মেয়েটিকে জোর করে কাছাকাছি একটি পরিত্যক্ত ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ।
কিশোরীর পরিবারের লোকজন জানান, বাড়ি ফেরার পরে কয়েক ঘণ্টা মেয়েকে দেখতে না পেয়ে তাঁরা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। কিছু ক্ষণ পরে ওই পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। তার পরেই পুলিশের কাছে যান তাঁরা। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তদের মধ্যে এক জন মেয়েটির পূর্ব পরিচিত। অভিযোগ পাওয়ার পরেই রোশন পাসোয়ান, বিশাল রুইদাস ও মহম্মদ শাহিদ নামে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের বয়স ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে। বাড়ি পাণ্ডবেশ্বরের নানা এলাকায়। নির্যাতিতার মা-বাবার দাবি, ‘‘দোষীদের দ্রুত শাস্তি চাই।’’
আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্ত বলেন, ‘‘রবিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয়। তাদের পাঁচ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে আজ, সোমবার নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হবে। সে দিনই আদালতে তার গোপন জবানবন্দিও নেওয়া হবে।
এই ঘটনার পরে এলাকায় নারী নিরাপত্তা নিয়ে সরব হয়েছে বিরোধীরা। স্থানীয় বিজেপি নেতা ছোটন চক্রবর্তী, সিপিএম নেতা প্রবীর মণ্ডলদের অভিযোগ, ‘‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। মেয়েদের কোনও নিরাপত্তা নেই, এই ঘটনা তারই প্রমাণ।’’ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির অভিযোগ অস্বীকার করে পাণ্ডবেশ্বরের
তৃণমূল বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
ডিসি (পূর্ব) অভিষেক গুপ্তের আশ্বাস, ‘‘এই মামলায় দ্রুত চার্জশিট দেওয়া হবে।’’