অনুব্রত মণ্ডল।—ফাইল চিত্র।
তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর পরিবারকে জড়িয়ে অশালীন ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার অভিযোগে দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে বীরভূম জেলা পুলিশ। ওই ভিডিয়ো তৈরি করার অভিযোগে এক নাবালককেও আটক করা হয়েছে।
বীরভূমের পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, ‘‘সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতেই সুকান্ত বর্মন ও অরূপ সরকার নামে দুই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বোলপুর আদালতে তুলে ধৃতদের ৯ দিনের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’’ আটক হওয়া নাবালককে গ্রেফতার করে আজ, শুক্রবার জুভেনাইল আজালতে হাজির করানো হবে বলেও পুলিশ সুপার জানান।
পুলিশ সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানার হাউরের বাসিন্দা, উচ্চ মাধ্যমিক এক পরীক্ষার্থী বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রতের পরিবারকে উদ্দেশ করে কিছু কটূ মন্তব্য করে একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে। সেই ভিডিয়ো শেয়ার করেন আলিপুরদুয়ার জেলার পশ্চিম ফালাকাটার যুবক সুকান্ত বর্মন ওরফে মাহি এবং রায়গঞ্জের বাসিন্দা, বছর চব্বিশের অরূপ সরকার ওরফে গুড্ডু। জেলা তৃণমূলের আইটি সেলের পক্ষ থেকে দিন কয়েক আগে ওই তিন জনের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়। পুলিশ প্রথমে অরূপ ও সুকান্তকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ বাড়ি থেকে আটক করে নিয়ে আসা হয় ওই নাবালককেও।
ধৃত অরূপ ও সুকান্তের বিরুদ্ধে অশালীন আচরণ, হুমকি দেওয়া, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারার পাশাপাশি তথ্য-প্রযুক্তি আইনেও মামলা রুজু হয়েছে। ওই দু’জনকে এ দিন গোপনে মোটরবাইকে চাপিয়ে পুলিশ বোলপুর আদালতে নিয়ে আসে। সরকারি আইনজীবী শ্যামসুন্দর কোনার জানান, ১ ফেব্রুয়ারি ধৃতদের ফের আদালতে তোলা হবে।
পাঁশকুড়ার ওই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সম্প্রতি স্মার্টফোন কিনেছে। ফোনে ভিডিয়ো বানানো তার নেশা বলে পরিবারের দাবি। ছেলেটির বাবা পেশায় দিনমজুর। তাঁকেও পুলিশ সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছে বলে পরিবারের দাবি। ফোনে তিনি দাবি করেন, এ দিনই প্রথম দেখেছেন ওই ভিডিয়ো। তাঁর কথায়, ‘‘অনুব্রতবাবু আমার ছেলেকে ক্ষমা করে দিন, এটাই চাই। পুলিশ ওকে ছেড়ে দিক।’’ অনুব্রতের প্রতিক্রিয়া, ‘‘ওরা অত্যন্ত খারাপ কাজ করেছে। ওদের নিয়ে আর কিছু আমি বলতে চাই না।’’