কলকাতার বৃদ্ধা সাইবার প্রতারণার শিকার হন গত নভেম্বর মাসে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
কৃষ্ণনগরের এক যুবকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নগদ ৭৪ লক্ষ টাকা উদ্ধার করল কলকাতা পুলিশ। সেই সঙ্গে দু’টি ল্যাপটপ এবং দু’টি মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ওই যুবকের আরও দুই সঙ্গীকে শুক্রবারই গ্রেফতার করা হয়েছে। সাইবার প্রতারণা এবং ডিজিটাল গ্রেফতারির একটি অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন তিন জন।
ধৃত উৎপল শিকদারের বাড়ি থেকে উদ্ধার নগদ টাকা, ল্যাপটপ এবং মোবাইল। —নিজস্ব চিত্র।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত নভেম্বর মাসে চারু মার্কেট থানা এলাকায় এক বয়স্ক মহিলা ডিজিটাল গ্রেফতারির ফাঁদে পড়েন। তাঁর কাছ থেকে ৬৬ লক্ষ টাকা আদায় করে নিয়েছিলেন প্রতারকেরা। এত দিনে সেই ঘটনায় তিন মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হল। ধৃতেরা হলেন ২৭ বছরের প্রতাপ রায়, ৩১ বছরের উৎপল শিকদার এবং ৩৫ বছরের কুমারেশ হালদার। তিন জনই কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা।
পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে প্রথমে প্রতাপকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে ক্রিপটোকারেন্সিতে প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। প্রতাপের থেকেই উৎপলের খোঁজ জানা যায়। শুক্রবার তাঁর বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা। ৭৪ লক্ষ নগদ টাকা তাঁরা বাজেয়াপ্ত করেছেন। এর পর তৃতীয় অভিযুক্তের খোঁজে চলে তল্লাশি। কৃষ্ণনগর থেকেই কুমারেশকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানতে পেরেছে, ক্রিপটোকারেন্সি ব্যবহার করে আর্থিক তছরুপের ‘মাস্টারমাইন্ড’ এই কুমারেশ। কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা হলেও রাজারহাটের চিনার পার্কে ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। শুক্রবার কৃষ্ণনগরে গিয়েছিলেন বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রণ উপলক্ষে। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সাইবার প্রতারণা এবং ডিজিটাল গ্রেফতারির ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। তা নিয়ে সতর্ক করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞেরা। প্রায় সব ধরনের সব বয়সের মানুষ ডিজিটাল গ্রেফতারির শিকার হচ্ছেন। এই ধরনের ফাঁদ এড়াতে আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন।