কলকাতায় সিএনজি বাসের সংখ্যা বাড়াতে চায় পরিবহণ দফতর। ফাইল চিত্র।
চলতি বছরেই এক হাজার পরিবেশবান্ধব বাস কলকাতার রাস্তায় নামতে চায় পরিবহণ দফতর। বর্তমানে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় ১০০টি ই-বাস চলছে। কিন্তু পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে সেই সংখ্যা এক ধাক্কায় অনেকটাই বৃদ্ধি করতে চাইছে দফতর। তবে এই ১ হাজারটি বাসের মধ্যে এমন কিছু বাস আছে, যেগুলিকে ডিজেল ইঞ্জিন থেকে সিএনজিতে রূপান্তরিত করা হবে। এমন বাসের সংখ্যা প্রায় ৩০০টি। এক একটি বাসের ইঞ্জিন বদল করতে খরচ হতে পারে আড়াই থেকে চার লক্ষ টাকা। সেই খরচ বহন করবে পরিবহণ দফতর। এই পরিবেশবান্ধব বাসগুলি চালানোর ক্ষেত্রে যেমন কলকাতা শহরের দূষণের পরিমাণ কমবে, তেমনই বাস চালানোর খরচও এক ধাক্কায় অনেকটা কমে যাবে বলে মনে করছে পরিবহণ দফতরের এক কর্তা।
পরিবহণ দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘পরিবেশ দূষণের কথা মাথায় রেখে সেই সংখ্যা শীঘ্রই এক হাজারে নিয়ে যাওয়া হবে। ২০১১ সালের পর থেকেই আমরা পরিবেশ-বান্ধব পরিবহণের উপর গুরুত্ব দিয়েছি। আগামী কয়েক বছরে সরকারি বাস পরিষেবা পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব হয়ে যাবে।’’ এমনিতেই বাস থেকে কতটা দূষণ ছড়াচ্ছে, তার পরিমাপ করতে দেশের প্রথম ‘রিমোট সেন্সিং ডিভাইস’ বা ‘আরএসডি’ ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, সরকার ডিজেল চালিত বাসগুলিকেও সিএনজি বাসে রূপান্তরিত করার যে উদ্যোগ নিচ্ছে, তাতেও গতি আনতে দফতরকে শীঘ্রই সক্রিয় করা হবে। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, প্রথম পর্যায়ে সরকারি বাসগুলিকে সিএনজিতে রূপান্তর করার পর পরবর্তী পর্যায়ে বেসরকারি বাসগুলির ইঞ্জিন পরিবর্তন করা হবে। সেই বিষয়ে বেসরকারি বাস মালিকদের সংগঠনগুলিকে আগামী ১৭ নভেম্বর বৈঠকে ডেকেছেন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সেখানেই এ বিষয়ে বেসরকারি বাস মালিকদের মতামত চাওয়া হবে।