—প্রতীকী ছবি।
ধানের পরে আলু। চলতি মরসুমে অতিফলনের সম্ভাবনা থাকায় কৃষকদের কাছ ন্যায্য দামে মূল্যে আলু কিনে নেওয়া হবে বলে জানাল রাজ্য সরকার। আলু কেনার দায়িত্ব হিমঘর-মালিকদের দেওয়া হয়েছে। সোমবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে সিলমোহর পড়েছে।
তিন কৃষি আইন এবং ন্যূনতম সহায়ক মূল্যকে ঘিরে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যে যখন কৃষক আন্দোলন চলছে, সেই সময়ে বাংলার এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা। তাঁদের বক্তব্য, ভোটের মুখে এই সিদ্ধান্তে দু’টি লক্ষ্যভেদ হতে পারে। ১) রাজ্যের শাসক শিবির যে কৃষকদের পাশেই আছে, কেন্দ্রকে সেই বার্তা দেওয়া। ২) বাড়তি ফলনে চাষিদের যে কোনও সমস্যা হবে না, সেই আশ্বাস দান। তাতে ভোটে এই সিদ্ধান্তের ফসল তুলতে সুবিধা হবে।
রাজ্য মনে করছে, আলুর অতিফলন হলে বাজারে চাহিদার তুলনায় জোগান বৃদ্ধির আশঙ্কা। ফলে লাভজনক দাম পেতে চাষিদের সমস্যা হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। সে-ক্ষেত্রে হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, হাওড়া, মুর্শিদাবাদ, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ারের কয়েক লক্ষ চাষি-বর্গাচাষি বিপদে পড়তে পারেন বলে নবান্নের খবর।
এই পরিস্থিতিতে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন জানান, চাষিদের কাছ থেকে আলু কেনার দায়িত্ব পাবে হিমঘর। মরসুমের শুরুতে অন্তত ১০ লক্ষ মেট্রিক টন জ্যোতি আলু কেজি প্রতি ছ’টাকায় কিনবে তারা। চাহিদা তৈরি হলে সেই আলু তারা বিক্রি করতে পারবে। আলাপনবাবু বলেন, ‘‘মনে করা হচ্ছে, বাজারে ৬০০ কোটি টাকা পর্যন্ত সহায়তা মূল্য পৌঁছে দেওয়া হবে।’’
এই কাজ করতে গিয়ে হিমঘর-কর্তৃপক্ষ কোনও সমস্যায় পড়লে তাঁদেরও আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে নবান্ন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এর আগেও এমন পদ্ধতিতে হিমঘর-কর্তৃপক্ষকে ব্যাঙ্কঋণ পেতে সাহায্য করেছে রাজ্য।