বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে জেলাশাসক পি উলগানাথন।
লক্ষ্য, জাতীয় মেলার স্বীকৃতি! নেটমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে এ বারের গঙ্গাসাগর মেলাকে আন্তর্জাতিক স্তরে নিয়ে যেতে চাইছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন। দেশ-বিদেশের দর্শকরাও অনলাইনে এই মেলা দেখতে এবং উপভোগ করতে পারবেন। পুণ্যস্নান থেকে সন্ধ্যারতি— মেলার প্রতিটি আয়োজন এ ভাবেই বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক এ কথা জানিয়েছেন জেলাশাসক পি উলগানাথন। তিনি বলেন, ‘‘অগণিত পুণ্যার্থীর ঢল তো নামবেই এ বারের সাগরমেলায়, তবে গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে আগ্রহী দেশ ও বিদেশের মানুষও ঘরে বসেই মেলায় অংশ নিতে পারবেন।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মেলা ও আশপাশের প্রবেশ ও বাহিরপথ-সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এবং মোড় সিসিটিভি-তে মুড়ে ফেলা হবে। ১০০০-এর বেশি সিসিটিভি লাগানো হবে বলে জানানো হয়েছে। মেলার প্রতিদিনের লাইভ ফিড নবান্নে সম্প্রচার করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সাগরমেলা হয়েছিল। করোনা সংক্রমণের কারণে ভিড় বেশি হয়নি। তবে এবার কুম্ভমেলা না হওয়ায় বছরের মেলায় ৩০ লক্ষ মানুষের সমাগম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন জেলার প্রশাসনের কর্তারা। তাই মেলার কোথাও যাতে সমস্যা বা বিপত্তি যাতে না হয় তার জন্যই বাড়তি নজরদারি। আর সবটাই নজরদারি চালাবেন মুখ্যমন্ত্রী ও নবান্নের শীর্ষ কর্তারা।
বৃহস্পতিবার থেকেই ই-স্নানের বুকিংয়ের সূচনা করল জেলা প্রশাসন। ই-পুজোর বুকিং শুরু হবে ৫ জানুয়ারি থেকে। এটাও বিদেশ থেকে করা যাবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। তিনি বলেন, এ বছর মেলা কেন্দ্রিক নানা ভিডিয়ো, ছবি ইত্যাদি পোস্ট করা হয়েছিল বিভিন্ন নেটমাধ্যমে। বিশেষ লিঙ্কের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল পুজোর আরতিও। তাতে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছিল। সব মিলিয়ে ৫০ লক্ষ মানুষ চাক্ষুষ করেছিলেন সেই আরতি। আগামী বছরের মেলায় সেই সংখ্যা এক কোটিতে নিয়ে যেতে চাইছে জেলা প্রশাসন। এ দিকে করোনা পরিস্থিতি মাথায় রেখে গতবারের মতোই নানা বিধি নিযেধ থাকছে মেলাতে।