সাগরদ্বীপে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে বৃহস্পতিবারই কলকাতায় ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
রাজ্য জুড়ে ফের চোখ রাঙাতে শুরু করেছে করোনা সংক্রমণ। তারই মধ্যে গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতিও চূড়ান্ত করে ফেলেছে প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে বৃহস্পতিবারই সাগরদ্বীপ থেকে ফিরে এসেছেন কলকাতায়। তার পরেও আবার গঙ্গাসাগর মেলা আয়োজনে মন দিয়েছেন তিনি। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেছেন, ‘‘করোনা সংক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের যাবতীয় ব্যবস্থা রেখেই হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। কোনও দিকেই খামতি রাখা হবে না।’’ অনুমান, মেলায় সবচেয়ে বেশি ভিড় হবে ১৪ জানুয়ারি। ওই দিনই মকর সংক্রান্তির উপলক্ষে তীর্থযাত্রীরা পুণ্যস্নান করে কপিলমুনির আশ্রমে পুজো দেবেন। কপিলমুনির আশ্রমের বাইরে থাকবে থার্মাল চেকিংয়ের ব্যবস্থাও।
১০-১৬ জানুয়ারি হবে গঙ্গাসাগর মেলা। যে হেতু গত বছর গঙ্গাসাগর মেলার আয়োজন সে ভাবে হয়নি, তাই প্রশাসন এ বছরের মেলায় বেশি সংখ্যক তীর্থযাত্রীর আগমনের আশঙ্কা করছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পৌষ সংক্রান্তিতে পুণ্যস্নান করতে আসবেন তীর্থযাত্রীরা। তাই প্রশাসন সূত্রে খবর, মেলায় যাতে টিকাকরণের কাজ করা যায়, সেই উদ্দেশ্যে ১০ লক্ষ টিকা মজুত রাখা হচ্ছে। কোনও ব্যক্তি মেলায় এসে টিকা নিতে চাইলে, সেখানেই তাঁকে টিকা দেওয়া হবে। মেলায় এ বার মাস্ক পরাও বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। তাই প্রশাসন মজুত রাখছে ২০ লক্ষ মাস্ক। সঙ্গে মেলায় এসে কোনও ব্যক্তি যদি করোনায় আক্রান্ত হন, সে জন্যও পৃথক ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে যাতে রোগীকে কলকাতায় আনা যায়, সেই কারণে দু'টি হেলিকপ্টারও রাখা হচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে